মঙ্গলবার চণ্ডীগড় পুরসভায় মেয়র নির্বাচনে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির জোটকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আর তারপরই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে উঠেছে কারচুপির অভিযোগ। ইতিমধ্যেই নতুন করে নির্বাচন করানোর জন্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টেও গিয়েছেন বিরোধীরা। ফলাফল প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আপ-এর পরাজিত প্রার্থী কুলদীপ কুমার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। ভোটের ফল প্রকাশের পরই তা্কে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল পুরসভার বাইরে।কুলদীপের দাবি, এই নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে নতুন করে ভোটগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক আদালতের তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, চণ্ডীগর পুরসভায় ৩৫ জন সদস্য আছেন। মেয়র নির্বাচনে ভোটের সংখ্যা অবশ্য ৩৬। কারণ মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রে চণ্ডীগড়ের সাংসদেরও একটি ভোট আছে সেখানে। সব মিলিয়েও কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। তাই এই পুরসভার মেয়র পদ দখল করা প্রায় নিশ্চিত ছিল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির জন্য। তবে মেয়র সহ যে তিন পদের জন্য নির্বাচন হয়, তাতে বিজেপিই জয়ী হয়। আর তারপরই কাউন্সিলররা পুরসভার অন্দরে তাণ্ডব শুরু করেন। এমনকী সিনিয়র ডেপুটি মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র পদের নির্বাচন বয়কট করে আপ এবং কংগ্রেস। এর জেরে সেই দুই পদও বিজেপির ঝুলিতেই যায়।
সরকারি ভাবে প্রকাশিত ফলে বলা হয়, বিজেপির প্রার্থী মনোজ সোনকর আম আদমির কুলদীপ কুমারকে ১৬-১২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮টি ভোট বাতিল করা হয়। সহজ অঙ্ক কষলেই বোঝা যাচ্ছে, বাতিল হওয়া ভোটের সবকটাই বিরোধী কাউন্সিলরদের। এরপরই বিরোধীরা ওয়াকআউট করেন। পরে সিনিয়র ডেপুটি মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র পদের জন্য বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কুলজিৎ সান্ধু এবং রজিন্দর শর্মাকে জয়ী ঘোষণা করে দেওয়া হয়। তাঁরাও ১৫টি করে ভোট পায়।