সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই শেষ লগ্নের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। বাংলাজুড়ে জনসংযোগ আরও দৃঢ়তর করতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরে বড়সড় সাফল্য এসেছে দলের। আর সেই সাফল্যের জমি বাম-কংগ্রেসকে ছাড়তে নারাজ মমতা। আর তাই দুটি তাঁর প্রশাসনিক সভা এবং সরকারি পরিষেবা প্রদানের কর্মসূচি থাকলেও রাতারাতি তার সঙ্গে জুড়ে গেল আরও ৩টি কর্মসূচি, ৩টি পদযাত্রা। একই জেলায় একই দিনে হল তা। মঙ্গলবার সকালেই উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ জায়গায় পায়ে হেঁটে জনসংযোগ সারলেন তৃণমূল নেত্রী। প্রথমে চোপড়া, তারপর ইসলামপুর এবং শেষে কর্ণঝোড়ায়। এরই সঙ্গে এদিনই রায়গঞ্জ এবং পাশের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে সভা করলেন তিনি। বুধবার বালুরঘাটের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন কন্যাশ্রী প্রাপক ছাত্রীরা। যেহেতু তাদের বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে যাবে, তাই তাদের বুধবার ছুটি দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ এমনিতেই বৃহস্পতিবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অধিকাংশ স্কুলে ছুটি থাকবে। তাই একদিন আগেই ছুটি ঘোষণা করেন মমতা।
মঙ্গলবার মমতা বলেন, “কন্যশ্রীর বন্ধুরা আছে না চলে গিয়েছে। স্কুল আছে তো কাল সকালে? কালকে কী বার, বুধবার। কাল তোমাদের কোনও পরীক্ষা নেই তো? তোমাদের স্কুলে কি ছুটি পড়েছে? মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের জন্য। মাধ্যমিকের জন্য ছুটি পড়ছে কবে থেকে। কাল থেকে? বৃহস্পতিবার থেকে? তাহলে কালকে বুধবার, যে সব স্কুলগুলো আজকে জয়েন করেছে, বালুরঘাটের সমস্ত স্কুলকে কাল ছুটি দিয়ে দিন, যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফিরতে অনেকটা যেতে হবে। বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে তোমরা কাল থেকেই ছুটি পেয়ে গেলে।” মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আগাম শুভেচ্ছাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। আইএএস-আইপিএস পরীক্ষায় বসার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া কথা জানিয়ে মমতা বলেন, “বিনামূল্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তোমাদের। আইএএস – আইপিএস হতে হবে তোমাদের। আমরা সংখ্যালঘু ভাইবোনেদের জন্য মেধাশ্রী বাবদ ৩ লাখ টাকা করে দিয়েছি।” বালুরঘাটেও এনআরসি প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। “এনআরসি আমরা করতে দেব না। আমরা রুখবই। বিএসএফ সীমান্তে অত্যাচার করছে। কার্ড বিলি করছে। বলেছে এই কার্ড নিতে হবে। আমি ডিএমকে বলেছি, যারা এপার থেকে ওপারে কাজ করতে যায়, তাদের ইনার কার্ড পারমিট আপনি দেবেন। কারণ বিএসএফ-এর কার্ড নিলে এপার থেকে ভাগিয়ে দেবে। ওপার থেকে ভাগিয়ে দেবে মানুষকে থাকতে দেবে না।”, স্পষ্ট জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী।