কার্যত দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন। সরগরম দেশের রাজনৈতিক আবহ। ইতিমধ্যেই শেষ লগ্নের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। বাংলাজুড়ে জনসংযোগ আরও দৃঢ়তর করতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরে বড়সড় সাফল্য এসেছে দলের। আর সেই সাফল্যের জমি বাম-কংগ্রেসকে ছাড়তে নারাজ মমতা। মঙ্গলবার সকালেই উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ জায়গায় পায়ে হেঁটে জনসংযোগ সারলেন তৃণমূল নেত্রী। প্রথমে চোপড়া, তারপর ইসলামপুর এবং শেষে কর্ণঝোড়ায়। এরই সঙ্গে এদিনই রায়গঞ্জ এবং পাশের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে সভা করলেন তিনি। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় জনসংযোগ যাত্রা করলেন মমতা।
এদিন চোপড়া থেকে তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট বার্তা, “আমি লড়ব, রক্ত দেব, তবু পালাব না।” গত লোকসভা ভোটে দুই দিনাজপুরে শাসকদলের ফল ভাল হলেও, লোকসভা ভোটে লড়াইটা শক্তই হবে তা বলাই বাহুল্য। শাসকদলের ঘাড়ে কাছে বিজেপির পাশাপাশি নিঃশ্বাস ফেলছে কংগ্রেসও। বিশেষ করে রাজগঞ্জ আসনে উপর নজর রেখেছ তারা। সেই কারণেই রাহুলেরও ওই এলাকাকে ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রার পথ হিসাবে বেছে নেওয়া। এদিন মমতা বলেন, “চোপড়া, ইসলামপুর, রায়গঞ্জে আমি মিছিল করেছি। এর পর রায়গঞ্জে ও বালুরঘাটে সভা করেছি। আমি লড়ব, আমি গড়ব। আমি মানুষের জন্য রক্ত দেব। আমি পালাব না।” পাশাপাশি বিজেপির অপপ্রচারকেও একহাত নিলেন তিনি। “উত্তরবঙ্গ আগে বঞ্চিত ছিল। এখানে কেউ আসত না। আমরা এখানে কাজ করেছি। আজ শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলাতেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করছি। একাধিক প্রকল্প যা আজ শিলান্যাস হল, তা আগামীদিনে হয়ে যাবে। এই মিটিং থেকে দুই লক্ষ মানুষের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। আমরা ৭৫ ভাগ কাজ করি। আর ওরা জল দিই বলে প্রচার চালাচ্ছে। ঘরে ঘরে ওরা গ্যাসের দাম বাড়ায়। আর অত্যাচার করে”, বক্তব্য তৃণমূল সুপ্রিমোর।