রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে ফের তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার থেকে বাংলার সমস্ত স্কুলে মিলবে হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা। রাজ্য শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এই মর্মে একটি ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করা হয়েছে। প্রাথমিক,মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিক সব বিদ্যালয়ে হাইস্পিড ইন্টারনেটের কানেকশন বসাবে ওয়েবেল (রাজ্য সরকার অধীনস্থ ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড)। করোনা অতিমারীকালে বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ। তখন পড়াশোনার একমাত্র উপায় ছিল অনলাইন ক্লাস। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে,ইন্টারনেটের মাধ্যমেই চলছে পড়াশোনা। অতিমারী পরিস্থিতি কাটিয়ে এখন স্কুলেই চলছে পঠন-পাঠন। তবে এখনও স্কুলের বহু কাজে ভরসা ইন্টারনেট। তবে অভিযোগ ওঠে, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলিতে ইন্টারনেট চলে না।
স্বাভাবিকবাবেই এত ধীর গতিতে নেট পরিষেবা থাকায় স্কুলের বহুকাজে সমস্যা তৈরি হয়। তারপর এখন ‘বাংলা শিক্ষা পোর্টালের’ মাধ্যমে স্কুলগুলি নিয়ন্ত্রিত হয় বললেই চলে। শিক্ষা দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, পড়ুয়াদের নম্বর এই পোর্টালে আপলোড করতে হয়। আর তার জন্য প্রয়োজন ইন্টারনেট। অনেক সময়ই অভিযোগ ওঠে নেটের সমস্যার জন্য খুব ধীর গতিতে কাজ করতে হয়। এই সব পরিস্থিতির কথা বিচার করেই এবার হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য শিক্ষাদফতর। ওয়েবেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী দু’মাসের মধ্যেই ইন্টারনেট কানেকশন লাগানোর কাজ শেষ করতে হবে। ৩৯ মাসের জন্য এই ইন্টারনেট কানেকশনগুলি থাকবে। স্কুল শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যাতে স্কুলের কাজ কর্মের সুবিধা হয় সেই কারণেই এহেন উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
