মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। এবার তাঁর সেই পথ অবলম্বন করে পথ দুর্ঘটনায় আহত ২ ডিওয়াইএফআই কর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার জন্য টাকাও জমা করলেন। দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসার তদারকি করে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দিলেন তিনি।
রবিবার রানীগঞ্জে ব্যক্তিগত কাজ সেরে ডিওয়াইএফআই কর্মী গৌতম রুইদাস ও সঞ্জয় রুইদাস বাইক নিয়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার বাড়িতে ফিরছিলেন। তখনই প্রচন্ড গতিতে একটি ১২ চাকার লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের বাইকে ধাক্কা মারে। গৌতম রুইদাসের পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায় ট্রাক। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে সে। সঞ্জয় রুইদাসও অল্পবিস্তর আহত হন। জাতীয় সড়কের ওপরে তাদের পড়ে থাকতে দেখে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথবাবুকে খবর দেন তাঁর মেয়ে।
আসানসোলের নিঘা এলাকায় দলের রক্তদান কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। মেয়ের কাছে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশের অ্যাম্বুলেন্সে দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুজনকে নিয়ে যান। গৌতম রুইদাসকে এবং সঞ্জয় রুইদাসের চিকিৎসার প্রাথমিক খরচের জন্য ৫০ হাজার টাকা জমাও করেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের চিকিৎসার তদারকিও করেন। নরেন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘মেয়ের কাছে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত দুজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি। পুলিশ খুব তৎপরতার সঙ্গে তাঁদের সাহায্য করেছেন।’
তিনি আরও জানান, ‘গৌতম রুইদাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর দুটি পা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সঞ্জয় রুইদাস স্থিতিশীল রয়েছে। কোন দল দেখে আমরা রাজনীতি করি না। মানুষের বিপদে আমরা সব সময়ই থাকি। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’ এ প্রসঙ্গে সিপিআইএমের জেলা আইনজীবী শাখার সদস্য আয়ুব আনসারী বলেন, ‘মানুষ হিসাবে উনি তাঁর কর্তব্য পালন করেছেন। উনি দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসার তদারকি করেছেন। চিকিৎসার প্রাথমিক টাকাও উনি জমা করেছেন হাসপাতালে। চিকিৎসার জন্য সর্বত সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। আমরা অভিভূত।’