কর্মসূচির মাঝে আচমকাই দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরই রাতারাতি বদলে গেল বাংলায় রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র রুট। কাটছাঁট করা হল সফরসূচিতেও। বাতিল ফালাকাটা, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়িরর পদযাত্রার কর্মসূচি। শোনা যাচ্ছে, দু’দফার বদলে একদফায় বঙ্গ সফর সারতে পারেন রাহুল। এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ইন্ডিয়া জোটের টালমাটাল পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জোটসঙ্গীকে হারাতে চায় না কংগ্রেস। আর তাই বাংলায় তৃণমূলকে চটিয়ে কোনও সূচি রাখতে চায় না তারা।
জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে ফিরে রবিবার ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র কর্মসূচি জলপাইগুড়ি থেকে শুরু করবেন রাহুল। দুপুরে বাগডোরা বিমান বন্দরে নেমে সোজা চলে আসবেন জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুরে। সেখানে জাতীয় সড়কের ধারে এক ধাবায় মধ্যাহ্নভোজন করবেন কংগ্রেস সাংসদ। সেখান থেকে চলে আসবেন জলপাইগুড়ি শহরের পিডব্লুডি মোড়ে। পুলিশের পরীক্ষা থাকায় আগেই রাহুল গান্ধীর জলপাইগুড়ির কর্মসূচির সময় পিছিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, দুপুর দুটোর পর পিডব্লুডি মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করবেন রাহুল। পোস্ট অফিস, থানা মোড় হয়ে কদমতলা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করে গাড়িতে উঠবেন। সেখান থেকে অসম মোড়, ফাটাপুকুর, ফুলবাড়ি হয়ে রাহুল গান্ধী পৌঁছে যাবেন শিলিগুড়ি। রাতেই ঢুকে পড়বেন উত্তর দিনাজপুরে। সেখানেই রাতে থাকবেন বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একাধিকবার আসনরফা নিয়ে কংগ্রেসের বরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। যাত্রা সম্পর্কে তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি। এর পরেই তড়িঘড়ি দিল্লিতে ডেকে নেওয়া হয় রাহুলকে। তার পরেই সফরসূচি কাটছাঁটের বিষয়টি সামনে এল। এদিকে, আগে ঠিক ছিল, বাংলায় দু’দফা কর্মসূচির পর এ রাজ্য থেকেই বিহারে ঢুকবেন, ফিরে এসে ফের একাধিক জেলায় পদযাত্রা করবেন। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলেছে। ইন্ডিয়া জোটের শিকড় আলগা হয়েছে। পাঞ্জাবে ‘একলা চলো’ নীতি নিয়েছে আপ। বিহারে রাজনৈতিক চিত্রপট বদলে গিয়েছে। হাত ছেড়ে ফের একবার এনডিএ শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। এমন অবস্থায় বিহারে হয়তো ঢুকবে না রাহুলের ন্যায় যাত্রা।
