এবার উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বাংলার ছাত্রছাত্রীরা ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্য কোনও পেশায় যেতে চাইলে অর্থ কোনও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় না। এই লক্ষ্যে স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ দেয় রাজ্য সরকার। এই বৃত্তি প্রদানের বাজেট গতবারের তুলনায় এবার আরও বাড়ানো হল। জানা গিয়েছে, এবার এই খাতে ১৫০০ কোটি টাকা খরচ করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সরকার। বৃত্তি পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলবে এই প্রক্রিয়া। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চের মধ্যেই যোগ্য আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দু’টি বিভাগে এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। নতুন করে আবেদন এবং পুনর্নবীকরণ। গতবার যেমন দু’টি বিভাগেই প্রায় একই সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছিল। সাধারণ ডিগ্রি কলেজ, পলিটেকনিক, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের পাশাপাশি এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়ারাও।
প্রসঙ্গত, এখনও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়ার কারণে আপাতত আবেদনের হার কিছুটা কম রয়েছে বলে খবর। উচ্চশিক্ষা দফতরের আশা, কয়েকদিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ হবে। তারপরেই স্কলারশিপের জন্য আবেদনের হিড়িক পড়বে। শুরুতে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে গেলে শেষ পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। তাতে অনেক দুঃস্থ, মেধাবী পড়ুয়া বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাই বছর দুই আগে সেই যোগ্যতামান কমিয়ে ৬০ শতাংশ করা হয়। তারপর থেকে আবেদনের হার বেড়ে যায়। এক সময় যেখানে তিন থেকে পাঁচ লক্ষের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে আবেদনের সংখ্যা, এখন সেটা আট লক্ষ ছাড়িয়েছে। সেই কারণে এই বৃত্তি প্রদানের বাজেটও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২-২৩ সালে এই খাতে ১৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল রাজ্যের। তার আগের বছর বাজেট ছিল ১১০০ কোটি। এক আধিকারিক বলেন, যোগ্যতা থাকলেই যে কেউ আবেদন করতে পারবেন। এবার যে টাকা ধার্য করা হয়েছে, তা সব খরচ হয়েও যাওয়ার পরও অনেকে বাকি থাকলে বাজেট আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া নিতে পারে রাজ্য সরকার।