সারা দেশজুড়েই জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। রাজধানী দিল্লী-সহ উত্তর ভারতে অব্যাহত হাড়কাঁপানো ঠান্ডার দাপট। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি রয়েছে শৈত্যপ্রবাহও। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দুটি নতুন দুর্বল পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে ২৫ থেকে ২৮শে জানুয়ারি পর্যন্ত হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলে হালকা তুষারপাত এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িষ্যা, বাংলা এবং সিকিমের বিচ্ছিন্ন জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমডি ঘন কুয়াশা এবং শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করেছে। তবে স্বস্তির বিষয় যে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে চলেছে। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লী-এনসিআর-এ ঘন কুয়াশা ছিল। আবহাওয়া অধিদফতর তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা থাকবে রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায়। ২৮ তারিখ সকাল পর্যন্ত পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। ২৮শে জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে।
প্রসঙ্গত,সস্কাইমেট ওয়েদারের রিপোর্ট অনুসারে ।পশ্চিম হিমালয়ে হালকা বৃষ্টি এবং তুষারপাতের পাশাপাশি মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গাঙ্গেয় বাংলা, দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যার কিছু অংশ, ছত্তিশগড় এবং বিদর্ভ, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূলে ১২টি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। ২৬শে জানুয়ারি থেকে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে পারে এবং ২৬ থেকে ২৮শে জানুয়ারির মধ্যে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের কিছু জায়গায় ঘন থেকে খুব ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। উত্তর মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বাংলা, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার কিছু অংশে কুয়াশা পড়তে পারে। আজ পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের বেশ কিছু জায়গায় ‘শীতল’ দিন থেকে তীব্র ঠান্ডা দিনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। তবে এই রাজ্যগুলিতে ২৬ থেকে ২৮শে জানুয়ারির মধ্যে শীতের তীব্রতা কমবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহবিদরা।