প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার দেওয়ালের মধ্যে কংগ্রেস সম্পর্কে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তার পর গত সোমবার পার্ক সার্কাসের মঞ্চ থেকে নাম না করে রাহুল গান্ধীর দলের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘ওরা মর্জি মতো চলতে চাইছে।’
কিন্তু বুধবার বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিষয়টি মমতা সরাসরি উড়িয়ে দিতেই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র একাধিক শরিক দল মুখ খুলতে শুরু করল। তাতে সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসের উপর খানিকটা চাপ বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
মমতা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় তাঁর দল তৃণমূল একাই লড়বে। যা হওয়ার, ভোটের পরে দেখা যাবে। শুধু তা-ই নয়, তৃণমূলনেত্রী বুধবার পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক সভায় রওনা হওয়ার আগে এ-ও জানান, রাহুল গান্ধী যে বাংলায় আসছেন, তা-ও সৌজন্য দেখিয়ে তাঁকে জানানো হয়নি।
মমতা মুখ খোলার পরেই দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, ‘তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গের বড় দল। কংগ্রেস এবং বামেরা ধারাবাহিক ভাবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। এই পরিস্থিতিতে তাই আসন ভাগাভাগি একটু কঠিন হবেই।’ এর পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে দুষে তাঁর মন্তব্য, ‘অধীর চৌধুরী ধারাবাহিক ভাবে মমতা এবং তৃণমূল সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন। তাঁকে ‘সুযোগসন্ধানী’ বলেছেন। যখনই সমঝোতা ইতিবাচক অবস্থানে পৌঁছয়, তখনই এমন বিতর্কিত মন্তব্য করা হচ্ছে।’ পাশাপাশি, পাঞ্জাবে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের সমঝোতার বিষয়টিও উড়িয়ে দেন সৌরভ। তাঁর কথায়, ‘পাঞ্জাবে আমরা একার শক্তিতেই লড়ার এবং জেতার ক্ষমতা রাখি।’
এনসিপি নেত্রী তথা শরদ পওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে ‘ইন্ডিয়া’য় মমতা তথা তৃণমূলের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিমত জানিয়েছেন। আবার উদ্ধব ঠাকরের ছেলে তথা শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা আদিত্য ঠাকরে বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে বাঘিনীর মতো লড়ছেন। তাঁকে বাদ দিয়ে বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ের কথা ভাবাটাই বাতুলতা।’