গত বছর জুন মাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কানাডার খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের। কানাডার খলিস্তানিদের দাবি, ভারতের মদতেই খুন করা হয়েছে তাঁদের নেতাকে। আর তাদের সেই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর দিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, ‘আমি ভারত সরকারের কাছে আবেদন করব, এই বিষয়ে যেন কানাডার সঙ্গে তাঁরা সহযোগিতা করেন।’ আর তারপর থেকেই কানাডা ও ভারতের কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। এরই মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ তুলল কানাডা। তারা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দুটি নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে। জাস্টিন ট্রুডোর দেশ জানিয়েছে, তারা ২০১৯ এবং ২০২১ সালের শেষ দুটি সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত করবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই খবর।
প্রসঙ্গত, কানাডার তদন্ত কমিশনকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব দেওয়া হয়। যদিও সে সময় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় নির্বাচনে চিন ও রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এখন উঠে এসেছে ভারতের নাম। বুধবার জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একজন বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত কমিশন ভারতের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তারই প্রেক্ষিপ্তে ভারতের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করতে চলেছে ট্রুডোর দেশ। কানাডা সরকারের বিশ্বাস, ভারত সে দেশের সাধারণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। কানাডিয়ান কমিশন অফ ইনকোয়ারি বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে যে তারা জাস্টিন ট্রুডো সরকার এই অভিযোগগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রমাণ উপস্থাপন করতে বলেছে। জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভারত ও ইরানকেও সম্ভাব্য বিদেশী হস্তক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বিবেচনা করছে ট্রুডোর দেশ।