ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কনভয়ে আচমকা ঢুকে পড়ল অন্য গাড়ি। যার জেরে মাথায় চোট পেলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝরল রক্তও। বর্ধমান থেকে ফিরে অসুস্থ শরীরেই রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক সেরে বেরিয়ে দুর্ঘটনার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। গাড়িচালকের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ঠিক সময়ে ব্রেক না কষলে মরেই যেতাম।” প্রায় ৪৫ মিনিট রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজভবন থেকে বেরন মমতা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর বৈঠক বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। বর্ধমান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান। “একটা গাড়ি আমার কনভয়ে আচমকা ঢুকে পড়ে। ২০০ কিলোমিটার বেগে ওই গাড়িটা যাচ্ছিল। আমার গাড়িচালক বুদ্ধি করে ব্রেক কষেন। ঠিক সময়ে ব্রেক না কষলে মরেই যেতাম। জানলাটা খোলা ছিল। ড্যাশবোর্ডটা আমার মাথায় লেগেছে। যদি কাচ বন্ধ থাকত, আমার মৃত্যুও হতে পারত। কাচ-সহ ড্যাশবোর্ড আমার সারা গায়ে ঢুকে যেত। গাড়িটা চুরমার হয়ে যেত। মানুষের আশীর্বাদে বেঁচে গিয়েছি”, জানান তিনি।
এদিন বর্ধমান থেকে ফেরার পথে মাথায় ব্যান্ডেড লাগানো অবস্থাতেই রাজভবনে পৌঁছন মমতা। বলেন, “আমি ওষুধ খেয়েছি। আপাতত হাসপাতালে যাচ্ছি না। আমার ঠান্ডা লাগছে। মনে হয় জ্বর আসছে। তাই নিয়ে কাজ করলাম।” আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে কীভাবে ২০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি ঢুকে পড়ল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিছকই দুর্ঘটনা নাকি নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় ষড়যন্ত্র, সে প্রশ্নও উঠছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেক সময়ে অনেকে অন্য কারও গাড়ি ব্যবহার করে। সে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আইনের হাতে ছেড়ে দিচ্ছি। এটা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্ধমানের গোদার মাঠে প্রশাসনিক সভা ছিল মমতার। বর্ধমান থেকে হেলিকপ্টারে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় সড়কপথে ফেরার পথেই সৃষ্টি হল বিড়ম্বনার।