গোটা দেশ আজ তাকিয়ে রামমন্দিরের দিকে। তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে। সেই দিনেই তাঁকে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানালেন বিজেপিরই নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সাফ জানালেন, ‘মোদী তো রামের অনুগামীই নন। উনি কোনওদিনই ভগবান রামকে অনুসরণ করেননি। রাম রাজ্যও গড়ে তোলেননি। গত এক দশকে নিজের স্ত্রীর প্রতি কী ব্যবহার করেছেন, দেখেছেন সকলে। মোদী প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে গাজোয়ারি দেখাচ্ছেন।’ ট্যুইট স্বামীর।
আর এই ট্যুইট নিয়েই এখন বিতর্ক বেঁধেছে গেরুয়া শিবিরে। কার্যত বেশ অস্বস্তিতেই পড়ে গিয়েছেন তাঁরা। কেননা এদিন অযোধ্যায় রামমন্দিরের যে উদ্বোধন এবং সেখানে রামলালার মূর্তির প্রতিষ্ঠার যে অনুষ্ঠান হতে চলেছে সেখানে মূল অতিথিই প্রধানমন্ত্রী। তিনিই নিজে হাতে মহেন্দ্রক্ষণে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। আর সেই দিনেই কিনা তাঁকে বাক্যবাণে বিঁধলেন স্বামী।
যদিও স্বামীর এই মোদী বিরোধিতা কার্যত নতুন কোনও ঘটনা নয়। তিনি এর আগেও একাধিকবার সরব হয়েছেন মোদীর বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি যে আজকের দিনে মোদীকে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করে নিশানা বানাবেন সেটা সম্ভবত কেউই ভাবেননি। এদিন স্বামী শুধু মোদীকে নিশানা বানিয়েই ক্ষান্ত হননি। তিনি এদিন অর্ধনির্মীত মন্দিরে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন।
এতদিন দেশের শঙ্করাচার্যরা যে প্রশ্ন তুলে এসেছেন এদিন সেটাই শোনা গিয়েছে স্বামীর মুখে। রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সঙ্গে দীর্দিন ধরে যুক্ত থাকা স্বামী প্রশ্ন তুলেছেন, কোন শাস্ত্রে বলা আছে যে অর্ধনির্মীত মন্দিরে গায়ের জোরে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে! কার্যত এই প্রশ্ন তুলেই এদিন রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েও অযোধ্যামুখী হননি দেশের একটা বড় অংশের সাধু সন্ন্যাসীরা। সেই নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে গেরুয়া শিবিরও। স্বামী কার্যত সেই অস্বস্তিকে আরও একটু খুঁচিয়ে দিলেন এদিন।