রাজ্যে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। স্পষ্ট জানালেন, আদালতের নির্দেশ পেলে সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ করে দেখিয়ে দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিহারে পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এমনই দাবি করলেন ব্রাত্য। বললেন, “যারা চাকরির দাবিতে পথে বসে আছেন তাঁদের জন্য মমতাদি খুবই দুঃখিত।” এদিন সাংবাদিকদের তরফে ব্রাত্যবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, বিহারে অস্থায়ী শিক্ষকরা স্থায়ী হলে বাংলায় সমস্যা কোথায়? “বিহারের বিরোধী দলেরা পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলের মতো মামলা করে না। মামলা করলেই সবটা ভেস্তে যাবে। বাংলায় গোটা নিগোয়টাই আদালতে আটকে আছে আদালত নির্দেশ দিলে ৭ দিনের মধ্যে নিয়োগ করে দেখিয়ে দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার”, প্রশ্নের উত্তরে জানান ব্রাত্য।
পাশাপাশিই, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের প্রভাব ভোটবাক্সে পড়ার সম্ভাবনা খারিজ করে ব্রাত্যবাবু বলেন, “এসবের কোনও প্রভাব ভোটে পড়বে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল স্বীকার করেছেন। তিনি বিষয়টি সংশোধন করে নিতেও বলেছেন। যে সব চাকরিপ্রার্থী রাস্তায় বসে আছেন তাঁদের জন্য মমতাদি খুবই দুঃখতি। মমতাদির ওপর ওদের যে ভরসাটা রয়েছে অন্য কোনও নেতার ওপরে নেই।” নিয়োগ আটকে থাকার জন্য ঘুরিয়ে আদালত ও বিরোধীদের দায়ী করে শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন আইনজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, মামলায় সারবত্তা রয়েছে বলেই আদালত তা গ্রহণ করেছে। তদন্তেও ধরা পড়েছে বিভিন্ন দুর্নীতি।