আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের অস্বস্তি বাড়ল বঙ্গ বিজেপির। গণবিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। হনুমান পুজো করে ফেরার তাঁর উদ্দেশে উঠল ‘চোর, চোর’ স্লোগান তুললেন। তৃণমূল কর্মীদের দাবি, “পুজো দিতে এসে রাজনৈতিক বক্তব্য পেশ করেছেন সাংসদ। একশো দিনের টাকা চুরি করেছে ওদের নেতারা। তাই চোর স্লোগান তো হবেই।” এদিন ধনিয়াখালি সাহেব হাটতলা এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে হনুমান পুজো করেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পুজো করে লাড্ডু বিতরণ সেরে তাঁর গাড়ি করে ফিরছিলেন সাংসদ। সেখান থেকে কিছুটা দূরেই তৃণমূল কংগ্রেসের একটি পথসভার প্রস্তুতি চলছিল। সেই রাস্তা দিয়েই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি যাওয়ার সময় উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা সাংসদকে লক্ষ্য করে ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি মাইক নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতেও দেখা যায় তাঁদের। তখন গাড়ির ভিতরেই ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। যদিও সেখানে দাঁড়ায়নি সাংসদের গাড়ি।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মানিক নস্কর বলেন, “এখানে পুজো করতে এসেছেন ঠিক আছে। কিন্তু এখানে এসে উলটোপালটা কথা বললে হবে না। কেন বললেন না একশো দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা অমিত শাহের ছেলে সব চুরি করে নিয়ে গিয়েছেন! টাকা না পেলে চোর স্লোগান তো দেব-ই। অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ, শুভেন্দু অধিকারী কি ভালো? টাকা চুরি করেনি? ২০০৯-এ তমলুকে অত টাকা কোথা থেকে খরচ করলেন? ও চুরি করেনি? তখন তো সারদা, নারদার টাকা নিয়েছিলেন। চুরি তো উনি ও করেছিলেন!” সরব হন ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রও। “যেখানে এসেছিলেন সেটা এসসি এলাকা। আজকে সেখানে একশো দিনের টাকা বন্ধ, ঘরের টাকা বন্ধ। লকেট চট্টোপাধ্যায় হঠাৎ পাঁচ বছর পর চলে এলেন হনুমান চলিসা পাঠ করতে তাহলে মানুষ তো বিক্ষোভ দেখাবেই”, স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।