চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন দিশা খুঁজে পেতে চলেছে বাংলা। রাজ্যের বুকে নির্মিত হতে চলেছে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। প্রসঙ্গত, নিউটাউনে গত বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এই হাসপাতাল গড়ার কথা দিয়েছিলেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবী শেঠি। এবার সেই কথাই বাস্তবায়িত হতে চলেছে। বাংলায় মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করতে চান চিকিৎসক দেবী শেঠি। আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জমি পেলেন দেশের প্রখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জেন। বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারের কাছে জমি দেওয়া হয়েছে ‘নারায়ণা হৃদয়ালয়া’কে। একদা কলকাতায় ইএম বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতাল ছিল ডাঃ দেবী শেঠির। বাংলা ছেড়ে তিনি এখন কর্ণাটকে তৈরি করেছেন নারায়াণা হৃদয়ালয়ের মতো হাসপাতাল। এবার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জমি পেল দেবী শেঠির নারায়াণা হৃদয়ালয়া। এবার বিনিয়োগ করার পালা। “৩৩ বছর আগে যখন এসেছিলাম তখন আমি জুনিয়র হার্ট চিকিৎসক। ইচ্ছে ছিল সমাজের গরিব মানুষের হৃদরোগের চিকিৎসায় সাহায্য করার। তবে বাংলার মানুষ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। শুধু হার্টের চিকিৎসাই নয়, গোটা দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থাই বদলে গিয়েছে। আমার ইচ্ছা ছিল এখানে একটি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করব। আমার ইচ্ছা আগামী দু’বছরে তা তৈরি করার। এখানে ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে”, বাংলায় এসে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বলেছিলেন ডাঃ দেবী শেঠি।
প্রসঙ্গত, ৭.২ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। ৫ থেকে ৭ হাজার রোগীকে এখানে একদিনে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যাবে। এমনই হাসপাতাল গড়ে তুলতে চান ডাঃ দেবী শেঠি। দু’বছরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে। এটা ১০০০ কোটি টাকার প্রকল্প বলে জানিয়েছেন ডাঃ দেবী শেঠি। আর হিডকো আজ চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, জমি বরাদ্দ করা হয়ে গিয়েছে। এই জমি পেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ডাঃ দেবী শেঠির কথায়, “আমি কৃতজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে আমাকে জমি দেওয়ার জন্য। আমরা পরিকল্পনা করছি ৬ মাসের মধ্যে নির্মাণের কাজ শুরু করতে। দুটি দফায় এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।” এছাড়া স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে পদক পেয়েছিলেন চিকিৎসক শেঠি। তবে এই হাসপাতাল গড়ে তোলা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “দু–বছরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। দেড় বছরের মাথায় সফট লঞ্চ হবে। হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসা, ক্যান্সারের চিকিৎসা, অরগ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্ট হবে। হাজার শয্যা থাকবে ওই হাসপাতালে। দেশের সামনে ওই হাসপাতাল একটি উদারহণ হবে। এটা একটা ডিজিটাল হাসপাতাল হবে।” পুরো বিষয়টি সম্বন্ধে তিনি বিশদে জানিয়েছেন দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায়।