মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরনের শাড়ি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রী যে শাড়ি পরেন তার টাকা কোথা থেকে আসে তা জানতে চেয়েছেন বিজেপি নেতা। আর তারপরই সুকান্তর নিঃশর্ত ক্ষমার দাবি জানিয়ে সরব তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে। একটি সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন সুকান্ত মজুমদার তাঁর শাড়ি নিয়ে জঘন্য মন্তব্য করেন এবং একটি শব্দ ব্যবহার করেন। এতে বিজেপির নারীবিদ্বেষী মানসিকতা প্রমাণ করেছে এবং নারীবিরোধিতার প্রতি তাদের মনোভাব বজায় রেখেছে।’
তৃণমূলের দাবি, ‘বিজেপির নারীবিদ্বেষী মানসিকতা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই এবং এটা তাদের কার্যকলাপ ও মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যখন ২০২১ সালে বাংলায় এসেছিলেন, তখন তিনি বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গিতে ‘দিদি ও দিদি’ মন্তব্যটি করেছিলেন। দেশের একমাত্র বর্তমান মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও, বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা তাঁকে বারবার অপমান করেছেন। আর এখন সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কথা বলার সময় একটি শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা বিজেপির ক্রমবর্ধমান ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয়। রাজনীতিতে ৩৩ শতাংশ নারী সংরক্ষণের মতো ছলচাতুরির কথা বলে কোনও লাভ হবে না, যদি এটি কার্যকর করা না হয়।’
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা কি এই ধরনের ভাষা একটি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে আশা করি? এটি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। মানুষের সমর্থন নিয়ে তিনি তিনবার জিতেছেন। এই মুহূর্তে ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তিনি। রাজনৈতিক যুদ্ধে তাঁর বিরুদ্ধে বারবার এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয়। এটা বাংলার সংস্কৃতি, তথা ভারতীয় রাজনীতির জন্যও শোভনীয় নয়। এটা মেনে নিন। আমি মনে করি এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় কিন্তু এটা বিজেপির ডিএনএ-র অংশ। এটা বারবার পুনরাবৃত্তি হয়।’ তৃণমূলের দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীজি বাংলায় এসে ‘দিদি-ও-দিদি’ বলেছিলেন এবং তারপর বাংলায় হারতে হয়েছিল। এই কারণেই বিজেপি কখনও বাংলায় জিততে পারে না।’