নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, এবার তাঁর সরকার মানুষের পাড়ায় পাড়ায় পৌঁছে যাবে। তিনি জানান, দুয়ারে সরকার নিজের মতো করে চলতে থাকবে। এরই পাশাপাশি সরকারকে তিনি পাড়ায় পৌঁছে দিতে চান। এই নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সূত্র বের করতে এই ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পোলিং স্টেশন ভিত্তিক তিনজন করে আধিকারিককে বসানো হবে। এই আবহে পাড়ায় পাড়ায় নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে সেই আধিকারিকদের দ্বারস্থ হতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ২০ জানুয়ারি, শনিবার থেকেই এই ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির সূচনা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচি চলবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
কী কী সুবিধা থাকতে চলেছে এই পাড়ায় সমাধানের কেন্দ্রগুলিতে? সরকারি ভাবে এই কর্মসূচির নাম হতে চলেছে ‘জনসংযোগ প্রকল্প’। কারও কোনও শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগ থাকলে এখানে জানানো যাবে। এছাড়া রেশন, কৃষক ভাতা বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কোনও সমস্যা হলেও এখানে এসে জানানো যাব। মৎস্যচাষীদের মৃত্যুতে যে ২ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়, তা পেতে পরিবার এখানেই নাম লেখাতে পারবেন। পরিযায়ী শ্রমিকরাও নিজেদের সমস্যার কথা এখানে জানাতে পারবেন।
মমতার কথায়, অনেকেই ব্লক স্তরে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে পারেন না। এই আবহে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই পাড়ায় সমাধান প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই সঙ্গে মমতা জানান, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ পরিষেবায় যে সকল আবেদন তাঁর কাছে জমা পড়েছে, তার যতটা সম্ভব তিনি মিটিয়ে দেবেন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার প্রতিশ্রুতি দেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলার সবার ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার। এদিকে কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য রাজ্যের যুব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান মমতা। পাঁচ লাখ টাকার ঋণ নিয়ে দোকান খোলার পরামর্শ দেন মমতা।