মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলে থাকেন, এগিয়ে বাংলা। সেই দাবি যে মোটেই ভ্রান্ত নয় এবার ফের মিলল তার প্রমাণ। নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। সদ্যোজাত-শিশু ও প্রসূতি স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এনআরএস, আর জি কর এবং বি সি রায় শিশু হাসপাতালকে বেছে নিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তিনটি হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ পরিচ্ছন্নতা এবং শিশু-প্রসূতিদের স্বাস্থ্য পরিষেবায় উল্লেখ্যযোগ্য অবদানের জন্য শংসাপত্র দেওয়া হবে।
এর পাশাপাশি, তিন বছরের জন্য দেশের সেরা হাসপাতালের তালিকাভুক্ত হল আর জি কর এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। তিনটি হাসপাতালকেই আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। যে অর্থে হাসপাতালের উন্নয়ন ও পরিকাঠামোর জন্য ব্যয় করতে হবে। উল্টোদিকে বিসি রায় শিশু হাসপাতালকে একবছরের জন্য ‘মুসকান’শংসাপত্র ও পাঁচ লাক্ষ টাকা পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হবে। বস্তুত, কেন্দ্রের এহেন শংসাপত্র ও আর্থিক সাহায্য পেয়ে রীতিমতো উচ্ছসিত হাসপাতালগুলি। সন্তোষপ্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা।
প্রসঙ্গত, ব্লক থেকে জেলা হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্য পরিষেবা, পরিচ্ছন্নতা এবং শিশু ও প্রসূতি স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ‘লক্ষ্য’এবং ‘মুসকান’ পুরস্কার চালু করেছে দিল্লি। প্রায় তিন বছর আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ পরিচ্ছন্নতার জন্য ‘লক্ষ্য’ পুরস্কার পেয়েছিল। এর পরে জেলা হাসপাতাল হিসাবে এমআর বাঙ্গুর পরপর তিন বছর একই পুরস্কার পায়। ফের একসঙ্গে তিনটি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালকে বেছে নিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের চিঠিতে বলা হয়েছে, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল সব মিলিয়ে ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। পেডিয়াট্রিক আউটডোর, ওয়ার্ড এসএনসিইউ এবং এনআরএস যথাক্রমে ৮৪, ৯৩ এবং ৮৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। তবে এই হাসপাতালেও স্তন্যপানের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা এবং শিশুদের সুবিধাজনক শৌচালয় তৈরির জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং এনআরএস হাসপাতালও দুটি বিভাগের জন্য পুরস্কার হিসাবে তিন বছর পাঁচ লক্ষ টাকা করে পাবে।