হামাসের সঙ্গে সংহতি প্রকাশে এই মুহূর্তে লোহিত সাগরে একের পর এক বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী বাহিনী। তারা মুখে বলছে ইজরায়েলের সঙ্গে জড়িত জাহাজগুলির ওপরই হামলা চালাবে। কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে প্রায় সকল দেশের জাহাজেই হামলা হচ্ছে। আর এবার এই হামলার সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে ভারতের উপর। লোহিত সাগরে এই হুথি হামলার জেরে একলাফে অনেকটা বাড়তে পারে ভারতের তেল আমদানির খরচ।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সভাপতি বোর্জে ব্রেন্ডের মতে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে, অদূর ভবিষ্যতেই ভারতকে ব্যারেল প্রতি ১০-২০ মার্কিন ডলার বেশি দিয়ে তেল কিনতে হবে। বলাই বাহুল্য, তেলের দামের এই বাড়-বাড়ন্ত ভারতের অর্থনীতিকে জোর ধাক্কা দেবে। প্রসঙ্গত, সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বসেছিল ইকোনমিক ফোরামের ৫৪তম বার্ষিক বৈঠক। এই বৈঠকে লোহিত সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রেন্ড।
উল্লেখ্য, লোহিত সাগর, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিপিং রুট। গোটা বিশ্বের সরবরাহ শৃঙ্খের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাণিজ্যিক জাহাজগুলির উপর নিয়মিত হামলার ফলে এই অঞ্ছলের বাণিজ্য ব্যাহত হয়েছে। নিরাপত্তার খাতিরে, লোহিত সাগর ছেড়ে অনেক জাহাজই এখন দক্ষিণ আফ্রিকা দিয়ে ঘুরে যাচ্ছে। যার ফলে যাতায়াতে ১০-১৫ দিন বেশি সময় লাগছে। ফলে বাণিজ্যের খরচও বাড়ছে। এরপর সুয়েজ খাল দিয়ে বাণিজ্য যদি বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রেন্ড।
তিনি বলেন, ‘যদি লোহিত সাগর দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়, তবে বিশ্ব বাণিজ্যে আঘাত নেমে আসতে খুব বেশি সময় লাগবে না। এমনকি যদি এক সপ্তাহের জন্যও সুয়েজ খাল বন্ধ থাকে, তাহলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অনেক ঝুঁকি আছে। আমরা আরও জানি, এতে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে তেলের দামের উপর। ভারতের মতো বড় মাপের তেল আমদানিকারক দেশগুলিতে তেলের দাম ১০-২০ ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তাতে অর্থনীতির উপর খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’