টাকা পাচারের মামলার তদন্ত করা যাদের কাজ, সেই সংস্থারই এক কর্মীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে টাকা তছরুপের অভিযোগ! আর নিজেদের অফিসে একসময়ে ডেপুটেশনে থাকা ওই কর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত চেয়ে রাজ্য পুলিশের দ্বারস্থ হলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি ইডি। শিক্ষা বা পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি হোক অথবা গোরু-কয়লা পাচার বা রেশন কেলেঙ্কারি—কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অনেকগুলি মামলায় রাজ্যে তদন্ত করছে ইডি।
সেই তুলনায় তাদের কর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক জালিয়াতির পরিমাণ টাকার অঙ্কে নগণ্য হলেও এই মামলার তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির রাজ্য পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ইডি সূত্রের খবর, চলতি মাসের গোড়ায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে কর্মরত ইডির অতিরিক্ত অধিকর্তা চন্দ্রমনীষী কুমার বিধাননগর উত্তর থানায় একটি এফআইআর করেছেন। তাঁর অভিযোগ, সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি থেকে ডেপুটেশনে ইডি দপ্তরে সিপাইয়ের কাজে যোগ দিয়েছিলেন সুকুমার কামিল্যা নামে এক ব্যক্তি।
২০২১-এর মাঝামাঝি নিজের স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ হিসাবে ভুয়ো মেডিক্যাল বিল জমা করে তিনি রিইম্বার্সমেন্ট হিসাবে দপ্তর থেকে প্রায় ৭ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সেই বিষয়টি সম্প্রতি নজরে আসে ইডির। তারপরেই তারা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশের কাছে চিঠিতে ইডির অতিরিক্ত অধিকর্তা চন্দ্রমনীষী জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দেশের যে কোনও প্রান্তে টাকা পাচার সংক্রান্ত যে কোনও মামলায় ইডি তদন্ত করতে পারে।