উত্তাপ ছড়াল মেদিনীপুরের রাজনৈতিক পরিসরে। প্রসঙ্গত, সামনেই অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধন। তার আগেই আজ, সোমবার মেদিনীপুর শহর-সংলগ্ন কাঁসাই নদীর গান্ধীঘাটে রাম, সীতা, হনুমানজির মন্দিরের উদ্বোধন হয়ে গেল। সকাল থেকে পুজো-অর্চনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। দুপুর ২টো নাগাদ মন্দিরে পৌঁছে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেত্রী জুন মালিয়া। মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি পুরোহিতদের সংবর্ধিত করেন তিনি। ফলকের আবরণ উন্মোচন করেন জুন। বিকেলে বেনারস থেকে আসা পুরোহিতরা গঙ্গা আরতি করবেন। তখনও উপস্থিত থাকবেন বিধায়ক। অন্য দিকে, মেদিনীপুর শহরে রামমন্দির উদ্বোধনকে স্বাগত জানিয়েও তৃণমূলকে খোঁচা দেন দিলীপ ঘোষ। মন্দির নিয়ে মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘‘কাঁসাই নদীর গান্ধীঘাটে অম্রুত প্রকল্প হওয়ার সময় ওখানে পুরসভার জল প্রকল্প নির্মাণের স্বার্থে একটি মন্দির সরানোর প্রয়োজন হয়। সেই মন্দিরটি স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় এবং মেদিনীপুর পুরসভার সহযোগিতায় আবার নতুন রূপে নির্মাণ করা হয়েছে। ওই মন্দিরের নব রূপে সূচনা করার সঙ্গে সঙ্গে সন্ধ্যায় বেনারস থেকে আগত পুরোহিতদের দ্বারা নদীবক্ষে সন্ধ্যা আরতির, গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়েছে।’’
পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে এবং তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী পৌষ সংক্রান্তিতে মেদিনীপুরে কংসাবতী নদীর ধারে গান্ধীঘাটে গঙ্গা আরতির সূচনা হয়েছে। দিলীপের কথায়, ‘‘ওঁর নেতানেত্রীরা অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও যেতে চাইছেন না। এখানে রামমন্দির ঠিক, ওখানে নয়, এটা ঠিক নয়। সেখানকার সাধুসন্তেরা উদ্বোধনের আয়োজন করেছেন। আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওঁরা (তৃণমূলের প্রতিনিধিরা) কেন অযোধ্যা যেতে পারছেন না? কেন মানুষকে বোকা বানাতে চাইছেন?’’ তৃণমূল বিধায়ক জুন দিলীপের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘‘রাম তো একার দিলীপদার নয়। রাম তো সবার। ওই মন্দিরটি আগেও ছিল। এখানে যাঁরা থাকেন, সকলেই জানেন যে আম্রুত প্রকল্পের সময় ওখানে মন্দিরটি রাখা যায়নি। তাই সরিয়ে নিতে হয়েছিল। মন্দিরের পুনঃস্থাপন হয়েছে। হয়তো দিলীপদা এ নিয়ে অবগত নন।’’ এখানেই থেমে থাকেননি জুন। ‘‘ওঁরা বলতে পারেন যে, অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনের মাসে একই সঙ্গে এই রামমন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে। কিন্তু আজ শুভ দিন। সে জন্য মনে হয়েছে সোমবারই উদ্বোধন করা যায়। এ নিয়ে অহেতুক রাজনীতি হচ্ছে কি না, সেটা মানুষই বলবে’’, স্পষ্ট বক্তব্য তৃণমূল বিধায়কের।