নতুন বছর শুরু হতেই দেশজুড়ে বেজে গিয়েছে লোকসভা ভোটের বাদ্যি। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জাতীয় নিবার্চন কমিশন। এই আবহেই আগামী এপ্রিলে বাংলার পাঁচ রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন হতে পারে। কারণ এই পাঁচ আসনের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে আগামী ২ এপ্রিল। তাই সেই মাসেই রাজ্যসভার ভোট শেষ করে ফেলতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
জানা গিয়েছে, এপ্রিলে মেয়াদ শেষ রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ নাদিমুল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী ও শান্তনু সেনের। একই সঙ্গে মেয়াদ শেষ হবে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভিরও। এই আসনগুলিতে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন শেষ করে ফেলতে হবে। তৃণমূল ওই ৪ জনকেই পুনরায় প্রার্থী করবে কিনা কিন্তু তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সূত্রের খবর, দুটি আসনে প্রার্থীর বদল হতে পারে।
এদিকে, প্রশ্ন উঠছে অভিষেক মনু সিংভিকে নিয়ে। গতবার কংগ্রেসের প্রার্থী সিংভিকে সমর্থন জানিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এবার তাঁকে দাঁড় করানো হলে বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারও কি সমর্থন করবে ঘাসফুল শিবির? কারণ, লোকসভা ভোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি প্রদেশ কংগ্রেস। তারা রাজ্যে আসা এআইসিসি প্রতিনিধি দলকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যে কংগ্রেসে বাঁচিয়ে রাখতে হলে শাসকদলের হাত ধরলে চলবে না। তাই লোকসভা ভোটে যদি তৃণমূলের হাত না ধরে কংগ্রেস তবে তার প্রভাব রাজ্যসভার ভোটে পড়তে পারে।
যদিও অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ভাল। আইনজীবী সিংভি তৃণমূলের হয়ে মামলাও লড়েন। তাই মনে করা হচ্ছে, তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে গররাজি হবে না রাজ্যের শাসক দল। উল্লেখ্য, খাতায়কলমে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৬। এছাড়া অন্য দল থেকে আসা বিধায়ক মিলিয়ে সেই সংখ্যা ২২৫। সেক্ষেত্রে বিধায়কের সংখ্যার নিরীখে চারটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। রাজ্যে বিজেপির যেহেতু ৬৭ জন বিধায়ক রয়েছে, তাই একটি আসনে তারাও প্রার্থী দেবে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস যদি সিংভিকে দাঁড় করায় তবে জিতিয়ে আনতে গেলে তৃণমূলকেই লাগবে।