বিধানসভার মধ্যেই নৈহাটির বিধায়ক তথা সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে এজেন্সির ভয় দেখিয়েছিলেন তিনি। সভার মধ্যেই বলেছিলেন, ‘এক মাসের মধ্যে ভিতরে ঢুকিয়ে দেব।’ আবার রেশন দুর্নীতির কাণ্ডে বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর বলেছিলেন, ‘এই কাণ্ডে হিডকোর যোগ আছে। কয়েকজন মন্ত্রী এর সঙ্গে জড়িত…মন্ত্রীরা কেউ বাঁচতে পারবে না।’ তাঁর এই সমস্ত মন্তব্যের পরেই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর অঙ্গুলিহেলনেই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের নিশানা করছে সিবিআই-ইডি। শুক্রবার রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে ইডির তল্লাশির পর ফের শাসক দল নিশানা করেছে বিরোধী দলনেতাকে।
গতকাল তল্লাশি শেষে ইডি অফিসাররা বেরিয়ে যাওয়ার পর সুজিত বসু পরিষ্কার বলেছেন, ইডি অফিসারদের তিনি কোনও দোষই দিচ্ছেন না। ওঁরা সরকারি কাজ করতে এসেছিলেন। বরং শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সমালোচনার জ্বালামুখ খুলে দিয়েছেন সুজিত। শুধু দমকল মন্ত্রী নন, দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার— সবার নিশানায় ছিলেন শুভেন্দুই। নারদ কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন কেন বিরোধী দলনেতার বাড়িতে ইডি-সিবিআই যাচ্ছে না? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, শাসক দলের এহেন আক্রমণের কারণে এই জনমানসে ধারনা জোরাল হচ্ছে যে, এই সব তল্লাশি অভিযানের পিছনে কলকাঠি নাড়ছেন শুভেন্দুই। যত নষ্টের গোড়া তিনিই। যা নিঃসন্দেহে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।