২০১৬ সালের পর ফের কলকাতায় এলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ক্লাইভ লয়েড। বুধবারই কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখেন প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোড়া বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক শুক্রবার গিয়েছিলেন সাতগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্ল্যাটিনাম জুবিলি ট্রফির ফাইনালে। সেখানে গিয়েই তিনি নলেন গুঁড়ের রসগোল্লা খেয়ে চোখ একেবারে কপালে তুলেছেন।
সাতগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্ল্যাটিনাম জুবিলি ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল চন্দননগর বয়েজ ক্লাব এবং আইদা মিলনি সংঘ। বিজয়ী হয় চন্দননগর। আইদা হয় রানার্স। বিজয়ী এবং রানার্স দুই দলকেই পুরস্কৃত করেন ক্লাইভ লয়েড।
ম্যাচের থেকেও বেশি তাঁকে ঘিরেই উন্মাদনার জোয়ার ছিল চোখে পড়ার মতো।
স্কুলের পডুয়াদের সঙ্গে যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছিলেন লয়েড নিজেও। কয়েক মুহূর্তের জন্য নিজের স্কুলজীবনে ফিরে গিয়েছিলেন। লয়েড বলেন, ‘আমি এর আগে ভারতের কোনও গ্রামে যাইনি। তাই দারুণ অভিজ্ঞতা হল। খেলোয়াড় হতে গেলেও খেলা সম্বন্ধে সাধারণ ধারণা থাকা জরুরি। সেটার জন্য লেখাপড়া লাগে। স্কুলের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর জন্য শুভেচ্ছা রইল।’
স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ক্লাইভ লয়েড স্থানীয় এক বাড়িতেই সেরেছেন দুপুরের খাওয়াদাওয়া। তাঁর আপ্যায়নে একেবারে ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। দু’রকমের পাস্তা, ফ্রুটস, ফিশ ফিঙ্গার এবং কাবাবের সঙ্গেই ছিল বিরিয়ানি ও চিকেন। মিষ্টির মধ্য়ে ছিল মাখা সন্দেশ, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, জিলিপি ও রাবড়ি।
গুপ্তিপাড়ার নলেন গুড়ের রসগোল্লার হাঁড়ি দেখেই চমকে যান লয়েড। তাঁর সটান প্রশ্ন, ‘এটা কি আলু?’ লয়েডের অবশ্য ভুল ভাঙিয়ে দিয়ে রসগোল্লার মাহাত্ম্য বুঝিয়ে বলা হয়। আজ শনিবার ক্রিকেটের নন্দন কাননে ইডেন গার্ডেন্সে যাবেন লয়েড। সিএবি বিকেলে লয়েডকে সংবর্ধনাও দেবে।