শুরু হয়ে গিয়েছে ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাসাগর মেলা। উল্লেখ্য, এবছর প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয় করে রকমারি আলোর রোশনাইয়ে সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণকে। ইতিমধ্যেই তা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতের গঙ্গাসাগর দেখে যারপরনাই মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সাজিয়ে তোলা হয়েছে কপিলমুনির আশ্রম সহ গোটা মন্দির চত্বর। সাজিয়ে তোলা হয়েছে সাগরের দ্বিতীয় প্রবেশদ্বার বেণুবন লঞ্চ ঘাট। গুরুত্বপূর্ণ কচুবেড়িয়া ভেসেল ঘাটের অস্থায়ী ও স্থায়ী জেটিগুলোও রঙিন ও সাদা আলোর মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে। মুড়িগঙ্গা নদীর তিনটি ইলেকট্রিক টাওয়ার সেজে উঠেছে উন্নত মানের আলোকসজ্জায়।
পাশাপাশি, মেলা চত্বরে রয়েছে প্রশাসনিক বিভিন্নরকমের ব্যবস্থা। গঙ্গাসাগরের মূল রাস্তা থেকে স্নানঘাটে যাওয়ার জন্য প্রায় ৭টি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রত্যেকটি রাস্তাকে আলাদা আলাদা রঙের রঙিন আলোয় সুসজ্জিত করা হয়েছে। ভোরবেলা স্নান করতে গিয়ে যাতে তীর্থযাত্রীদের সমস্যা না হয়, তার জন্য বিশেষ আলোর পাশাপাশি লেজার লাইট দিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধির ব্যাবস্থা করা হয়েছে। কপিলমুনি মন্দিরের পাশে লেজার শোয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে কপিলমুনির জীবনের নানা কাহিনী।