জনসাধারণের স্বার্থে তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা। খোলা হল ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু হল। খিদিরপুরের ৯ নম্বর বোরোর অন্তর্গত ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানসত্তালা লেনে গত বুধবার এই সেন্টারটির উদ্বোধন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সাধারণ মানুষ নির্ধারিত মূল্যের প্রায় ৬২ শতাংশ কম খরচে স্বাস্থ্যসাথীতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারবেন এখানে। কেএমসি সূত্রে খবর, এই সেন্টারে আপাতত সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই পরিষেবা পাওয়া যাবে। এরপর ধীরে ধীরে চালু হবে আলট্রাসোনোগ্রাফি, ডিজিট্যাল এক্স রে মতো পরিষেবা। স্বাস্থ্যসাথীতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ কম ধরা হয়। জানা গেছে, এই ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার থেকেও প্রায় ৬২% কমে পরিষেবা পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, হোল অ্যাবডোমেন অথবা পুরো পেটের সিটি স্ক্যান করাতে ১৭৪০ টাকা খরচ পড়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে। তবে পুরসভার এই সেন্টারে মাত্র ৬৬২ টাকায় হোল অ্যাবডোমেন স্ক্যান করা যাবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে আপার অ্যাবডোমেন অথবা লোয়ার অ্যাবডোমেনের সিটি স্ক্যান করাতে খরচ হয় ৮৭০ টাকা। তলপেট কিংবা উপরের পেটের সিটি স্ক্যান মাত্র ৩৩১ টাকায় হবে এই সেন্টারে। স্বাস্থ্যসাথীর চেয়ে ৬২ শতাংশ কমে সব ক্ষেত্রেই পরিষেবা পাবেন রোগীরা। কোমর অথবা ঘাড়ের সিটিস্ক্যানও হবে পুরসভার এই ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও বুধবার এই সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর রেহানা শামিম খান, বোরো চেয়ারম্যান দেবলীনা বিশ্বাস, অসীম বসু সহ পুরসভার আধিকারিকরা। উদ্বোধনের পর ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথীর নির্ধারিত মূল্যর থেকে ৬২ শতাংশ কম খরচে সাধারণ মানুষ এই পরিষেবার পাবেন। এই ন্যায্যমূল্যের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যে সমস্ত পরীক্ষা হবে, এবং তার জন্য কত খরচ হবে, সেই মূল্য তালিকা সেন্টারের বাইরের বোর্ডেও দিয়ে দেওয়া থাবে।” দেশের প্রথম ন্যায্যমূলের ডায়াগনস্টিক পরিষেবা এটি, এমনই দাবি করেছেন ফিরহাদ।