ক্রমশই বেহাল হচ্ছে বাজারের পরিস্থিতি। কার্যত তলানিতে মুখ মোদীর সাধের ডিজিটাল ইন্ডিয়া! খোদ টেলিকম মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট বলছে, ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে স্মার্টফোনের বিক্রি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোনের বাজারে এই বিক্রি কমায় হ্রাস পেয়েছে মোবাইল ফোনের উৎপাদনও। মোদীর আত্মনির্ভর ভারতের সরকারি দাবি এবং ফাইভ জি নিয়ে আসার কৃতিত্ব রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে বিগত দু বছর ধরে স্মার্ট ফোন বিক্রিয়ের হার অনেকটাই নিম্নগামী। ওয়াকিমহলের মতে, আমজনতার হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকাই এর প্রধান কারণ। সে জন্য গরিব মানুষের মধ্যে বেসিক মোবাইল ক্রয়ের প্রবণতা বাড়ছে। ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশনের বার্ষিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে স্মার্ট ফোন বিক্রি কমেছে ১০ শতাংশ। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে সস্তা এবং মাঝারি মানের স্মার্ট ফোন বিক্রি সবথেকে কম। আর এর ফলে ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধিতে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ গত এক বছরে বেড়েছে মাত্র ১.৭ শতাংশ। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে মাত্র ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আদতে স্মার্ট ফোন বিক্রির হার কমে যাওয়ার ইঙ্গিত। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০১৫ সালে ভারতে স্মার্ট ফোন বিক্রি হয়েছিল ১০ কোটি। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ কোটি। কিন্তু ২০২২ সালে হ্রাস পেয়ে হয় ১৪ কোটি। ২০২৩ সালে সেই অঙ্কটা আরও কমে হয় সাড়ে ১৩ কোটি। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ ট্রাই-এর কাছে এব্যাপারে একটি রিপোর্টও জমা পড়েছে। ২০২২ সালের আগে মোবাইল ব্যবহারকারীরা গড়ে ১৮ থেকে ২৫ মাস পর মোবাইল হ্যান্ডসেট বদলের কথা ভাবত। এখন গড় হয়েছে ৩৬ মাস। এর প্রধান কারণ গরিব ও মধ্যবিত্ত জনতার আর্থিক সংকট। এন্ট্রি লেভেল স্মার্ট ফোন অর্ধাৎ ৫- সাড়ে ৭ হাজার টাকা মূল্যের স্মার্ট ফোন সবথেকে বেশি বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু এই দামের ফোন এবং ১৪ হাজার টাকার কম দামী ফোন বিক্রি বাড়ছেই না। যা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগের।