কিছুদিন আগেই ২০১৬ সালে প্রাথমিকে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশের দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাইমারি বোর্ড এবং বর্তমান চাকরিরত শিক্ষকদের একাংশ। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে ডিভিশন বেঞ্চ।
তিনি বলেছিলেন, ‘দশ দিনের মধ্যে ২০১৬ সালের প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করতে হবে।’ প্যানেল আগে প্রকাশ হলে তবে তা আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ খারিজ করলেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, প্যানেল প্রকাশ না হলে, তা প্রকাশ করতে। আর হলে গেলে তা আদালতে জমা দিতে। এই মন্তব্যকে সামনে রেখেই বোর্ডের আইনজীবী বলেন, ‘কতবার প্যানেল প্রকাশ করা যায়?’
পালটা এদিন বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, ‘আপনারা প্যানেল প্রকাশ করেছেন? যদি করেন, বিচারপতি বলেছেন তা আদালতে জমা দিতে। সেক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়?’ বোর্ডের আইনজীবী পালটা বলেন, ‘ছয়-সাত বছর পর আবার প্যানেল সামনে আনতে বলা হচ্ছে। দশ বার প্যানেল প্রকাশ করা কী ভাবে সম্ভব?’
এদিন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি কারও বক্তব্য শোনেন না। নিজের নির্দেশ দিয়ে যান। সিঙ্গেল বেঞ্চে শুধু মামলাকারীদের আইনজীবী ছাড়া সকল আইনজীবীকে পর্যদুস্ত করা হচ্ছে। একজন আইনজীবীকে গ্রেফতারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এগুলো কী হচ্ছে?’
২০১৬ সালের প্রাইমারির নিয়োগের প্যানেল প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা এদিন খারিজ হয়ে যায় ডিভিশন বেঞ্চে।