মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত শক্ত হাতে দল চালাচ্ছেন। অতীতে দল তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা তিনি পালন করেছেন। ভবিষ্যতেও তা পালন করবেন। দলে কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই।
অভিষেক বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ। কোথাও কোনও দ্বন্দ্বের জায়গা নেই। ২০২১ সালে দল আমাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে বলেছিল। আমি দিয়েছি। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল আমাকে নবজোয়ার করতে বলেছিল। আমি তা করেছি। দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি নিয়ে দল আমাকে ২ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিল। আমি আমার সাধ্যমত তা করেছি। ২০২৪ সালেও দল যদি কোনও দায়িত্ব দেয় তাহলে আমি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করব। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সুসংঘটিতভাবে দল চালাচ্ছেন। আমার যতটুকু সাংগঠনিক ক্ষমতা রয়েছে তার সবটুকু দিয়ে আমি দলের পাশে দাঁড়াব। এতে দ্বিমত কোথায়’?
অভিষেক আরও বলেন, যতদিন প্রাণ থাকবে ততদিন তৃণমূলের সঙ্গে আছি। জয়বাংলা বলব। এতে গৃহদাহ, অন্তদ্বন্দ্ব কোথা থেকে আসছে? ২০২৪ সালে আমি যদি প্রার্থী হই তাহলে তো বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে। যে পঞ্চায়েতের নেতা তাকে তো তার পঞ্চায়েত দেখতে হবে। বারবার আমি বলি, মানুষ শেষ কথা বলে। মানুষ না চাইলে সবার মূল্য শূন্য।
এদিন পৈলানের সভা থেকে বেশ কয়েকজন বয়স্ক মানুষের হাতে বার্ধক্যভাতার চেক তুলে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গত ১০ নভেম্বরের সভা থেকে কথা দিয়েছিলাম ১ জানুয়ারি থেকে বার্ধক্যভাতা চালু করব বলেছিলাম। দুমাস সময় লেগেছে। তারপর এই সভা করছি। গত ২ মাস ধরে ৭৬,১২০ রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। তারপর ভেরিফিকেশন হয়েছে। কার প্রয়োজন রয়েছে, কার প্রয়োজন নেই। সেসব দেখেই ওই ৭৬১২০ জনকে ১ হাজার টাকা প্রতি মাসে দিতে পারি তা ঠিক করেছি। আজ অন্য দলেরও সভা হচ্ছে। তার সঙ্গে এই সভার তফাত হল এখানে মানুষ তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেখতে পাচ্ছে। এটাই ডায়মন্ডহারবার মডেল।