স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ফের নতুন পদক্ষেপের পথে হাঁটল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। এবার নিখরচায় ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট সার্জারি করবে তারা। প্রসঙ্গত, পছন্দসই স্তন পেতে অনেক মহিলাই এখন ব্রেস্ট ইমপ্লান্টের দিকে ঝুঁকছেন। অধিকাংশ অভিনেত্রীই ব্রেস্ট ইমপ্লান্টের সাহায্যে সুন্দর করে তুলেছেন নিজেদের। এই ব্রেস্ট ইমপ্লান্টের খরচ অনেক। কসমেটিক সার্জারির মধ্যে এখন অন্যতম জনপ্রিয় হল ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট বা স্তন প্রতিস্থাপন। বিশ্ব জুড়ে এর প্রচলন বাড়ছে ধীরে ধীরে। স্তন ক্যানসারের মতো অসুখের প্রকোপে অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের স্তনহানি হয়। তা ছাড়া, সৌন্দর্যবৃদ্ধির লক্ষ্যেও অনেক মহিলারই স্তনের আকার পরিবর্তন করেন। রূপান্তরকামীরাও স্তন প্রতিস্থাপনের পথে পা রাখেন। তাই সাম্প্রতিক সময়ে তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, সকলের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় স্তন প্রতিস্থাপনের পদ্ধতি। এখন ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালগুলিতেও।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের এক তরুণীর ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি বিনামূল্যেই করেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। হাসপাতালের ব্রেস্ট ও এন্ডোক্রিন সার্জারির ইনচার্চ ডাঃ ধৃতিমান মৈত্র বলেছেন, মেয়েটি গরিব ঘরের। এই ধরনের অপারেশনের জন্য কম করেও লাখ দেড়েক টাকা লাগে। অপারেশনের পরেও অনেকদিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়। সব মিলিয়ে খরচ অনেক। তাই বেসরকারি হাসপাতালে এই অপারেশন করানো অসম্ভব ছিল মেয়েটির পরিবারের কাছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সেখানে সম্পূর্ণ নিখরচায় মেয়েটির ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করে দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি যেমন নারীত্বের পূর্ণতা দেবে, তেমনই এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। স্যালাইন ইমপ্লান্টস এবং সিলিকন ইমপ্লান্টস, সব ধরনের প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেই রোগীরা বিশেষ ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন এমন কথাও শোনা গিয়েছিল। স্তন ফুলে যাওয়া, স্তনে ব্যথা, স্তনের চারপাশে কালো দাগের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে এক্ষেত্রে। তাছাড়া সার্জারি ঠিকভাবে না হলে শরীরে নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।