এবার পুরুলিয়া জেলার পাঁচ প্রবীণ লোকশিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করল মানভূম কালচারাল আকাদেমি। উল্লেখ্য, লোকসংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এই পুরুলিয়া জেলা। শনিবার পুরুলিয়ার জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে মানভূম কালচারাল আকাদেমির বাৎসরিক সাধারণ অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এইদিন তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের আওতায় থাকা মানভূম কালচারাল আকাদেমির তরফে ওই প্রবীণ শিল্পীদের ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হল। পুরুলিয়া জেলার লোকসংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গঠিত হয়েছে মানভূম কালচারাল আকাদেমি। বিগত তিন বছর ধরে শিল্পীদেরকে বাৎসরিক সাধারণ অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয়ে আসছে। এই আকাদেমি এবার ৬ বছরে পদার্পণ করেছে। এই দিন লোক শিল্পীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিলেন পুরুলিয়ার পৌরসভার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি। এই অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রকাশিত হয় মানভূম কালচারাল আকাদেমির মুখপত্র ‘মানভূম সংস্কৃতি’র তৃতীয় সংখ্যা।
এপ্রসঙ্গে উক্ত আকাদেমির সভাপতি হংসেশ্বর মাহাত বলেন , পুরুলিয়ার লোকসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাতে এই আকাদেমি গঠিত হয়। এই জেলার লোকশিল্পকে আরও ব্যাপকভাবে তুলে ধরে তার প্রচার এবং প্রসার ঘটানআমাদের মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া লোকশিল্পগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য নানা কাজ শুরু হয়েছে। এইদিন যে পাঁচ জন প্রবীণ লোকশিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন ছৌ শিল্পী তথা ওস্তাদ শশধর মাহাত , মুখোশ নির্মাণ শিল্পী দ্বিজেন সূত্রধর , ঝুমুর কবি রসিক , গায়ক ও মাদল শিল্পী নিবারণ মাহাত , ছৌ শিল্পী তথা ওস্তাদ নৃপেন সহিস সেই , আড় বাঁশি বাজানো তথা ঝুমুর শিল্পী মথুর মাহাত। আগামী দিনেও শিল্পীদের উৎসাহিত করতে এই ধরনের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে এই রকম পুরস্কার বা সম্মান শিল্পীদের আরও বেশি করে উৎসাহিত ও আগ্রহী করে তুলবে বলেই আশাবাদী শিল্পীমহল।