২০২১ সালে সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশে কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হলেও বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। সেবার খাতাই খুলতে পারেনি বামেরা। সেই কথা স্মরণ করিয়ে রবিবারের ব্রিগেডকে চূড়ান্ত কটাক্ষ করলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রা শেষ হয়েছে গত ২২ ডিসেম্বর। আর এবার ছিল তাদের ইনসাফ সমাবেশ। যে কারণে জেলাগুলি বহু মানুষ শহরে এসেছিলেন। উত্তরবঙ্গ থেকে কর্মী সমর্থকরা চলে এসেছিলেন শনিবারই। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে বাস এবং ট্রেনে করে হাজারে হাজারে নেতা, কর্মী, সমর্থক হাজির হয়েছিলেন হাওড়া এবং শিয়ালদহে। আর এ নিয়েই আলিমুদ্দিনকে কটাক্ষ করেছেন কুণাল। তাঁর দাবি, ‘ব্রিগেড নিয়ে সিপিএম যেন মাতামাতি না করে। কজন যাচ্ছেন সেটা বড় কথা নয়। ব্রিগেডে গেলেও কমরেডরা ওই পার্টি কে ভোট দিচ্ছেন না এটা প্রমাণিত। কিছু কমরেড বিজেপিকে ভোট দেয়।’ ব্রিগেডের ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত না হয়ে সিপিএম আগে নিজস্ব ভোট ফেরাক। এমনটাই দাবি তাঁর।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভায় সিপিএম একা লড়েনি। নতুন তৈরি হওয়া দল আইএসএফ এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে সংযুক্ত মোর্চা নাম দিয়ে লড়েছিল। কিন্তু তাতে ভোট বাড়া তো দূর, কার্যত শূন্য হয়ে যায় বামেরা। জোটের হয়ে একটি মাত্র আসন পেয়েছিল আইএসএফ। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলে থাকেন, লাল ঝান্ডার যে সমস্ত কর্মী সমর্থকরা চাননি সিপিএম কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে হাত মেলাক, তাঁরা সেই রাগেই ঢালাও ভোট দিয়েছিলেন বিজেপিকে। কুণালের দাবি, ‘বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে সিপিএম। ২১ সালেও তো ব্রিগেড করেছিল। তারপরেও বিধানসভায় শূন্য পেয়েছে।’