সন্দেশখালির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতি থেকে শুরু করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যে সব মন্তব্য করছেন, তার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, বাংলাকে কেউ বদনাম করতে চাইলে তাঁর তীব্র আপত্তি রয়েছে। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন বোঝাতে চেয়েছেন, বাংলাকে বদনাম করার সুনিয়োজিত চেষ্টা হচ্ছে।
এদিন ধনধান্য সভাঘরে এক সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে কেউ গালাগালি করলে আপত্তি নেই। তা করতেই পারেন। কিন্তু বাংলার বদনাম করলে আমার খুব গায়ে লাগে। বাংলাকে বদনাম করবেন না’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেকে বলছেন, বাংলায় নাকি আইনশৃ়ঙ্খলা পরিস্থিতি নেই। তাই যদি হবে তাহলে শ্রীরামপুর থানা কেন দেশের সেরা তিনটি থানার মধ্যে একটি হল। কেন কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টেই বলা হচ্ছে, কলকাতা সবচেয়ে নিরাপদ শহর’!
দলের নেতা মুখপাত্ররা বলছেন, রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে বেছে বেছে ত়ৃণমূলের নেতাদের বাড়িতে যাচ্ছে সেন্ট্রাল এজেন্সি। সংবাদমাধ্যমকে আগাম খবর দিয়ে যাচ্ছে। তার পর সেখানে গিয়ে প্ররোচনা দিচ্ছে। তৃণমূলকে এবং পশ্চিমবঙ্গ বদনাম করার জন্যই এটা করা হচ্ছে। তৃণমূলের এও অভিযোগ, এই গোটা নকশায় সাংবিধানিক পদে বসে থাকা ব্যক্তিও শরিক। তা ছাড়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন কুণাল ঘোষরা।