রাজ্যবাসীর স্বার্থে আগেই ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান খুলেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর এবার শহরে শুরু হতে চলেছে ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বেসরকারি ল্যাবরেটরির তুলনায় অর্ধেকেরও কম খরচে চিকিৎসা পরিষেবা দেবে কলকাতা পুরসভার নতুন ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, আপাতত সেখানে সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই পরিষেবা মিলবে। ধীরে ধীরে শুরু হবে ডিজিটাল এক্স রে, আলট্রাসোনোগ্রাফি।
কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সুব্রত রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথীর থেকেও ৬২ শতাংশ কম খরচে পরিষেবা মিলবে এই ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এমনিতেই স্বাস্থ্যসাথীতে নামমাত্র খরচ। তার থেকেও কম খরচে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হোল অ্যাবডোমেন অথবা সম্পূর্ণ পেটের সিটি স্ক্যান করাতে খরচ হয় ১৭৪০ টাকা। তার থেকেও ৬২ শতাংশ ছাড়! অর্থাৎ মাত্র ৬৬২ টাকায় করানো যাবে পেটের সিটি স্ক্যান। শুধুমাত্র আপার অ্যাবডোমেন অথবা লোয়ার অ্যাবডোমেনের সিটি স্ক্যান করাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে খরচ ৮৭০ টাকা। সেখানেও মিলবে ৬২ শতাংশ ছাড়। অর্থাৎ মাত্র ৩৩১ টাকায় করানো যাবে তলপেট কিংবা উপরের পেটের সিটি স্ক্যান।
আপাতত সিটি স্ক্যান, এমআরআই শুরু হলে আগামী দিনে ডিজিটাল এক্স রে, আলট্রাসোনোগ্রাফিও হবে এই ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেটাও সেই ৬২ শতাংশ ছাড়ে। এখন সাধারণ এক্স রে করাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে খরচ ১০০ টাকা। সেটা এই ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হবে মাত্র ৩৮ টাকায়। ডিওডেনামের এক্স রে করানো যাবে মাত্র ৩৪২ টাকায়। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, যাঁরা চিকিৎসা করাতে আসবেন এই ফেয়ার প্রাইজ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে, তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে আসতে হবে। আগামী ১০ জানুয়ারি ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে উদ্বোধন হবে এই ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, শহরের প্রান্তিক মানুষদেরও যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে। তাঁর চিন্তাকে বাস্তব রূপ দিতেই এই ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টার।