এবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার ঘটনার প্রসঙ্গে বিজেপি তথা ইডির দিকেই আঙুল তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসার ও জওয়ানদের প্ররোচনাতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সন্দেশখালির প্রত্যন্ত গ্রাম সরবেড়িয়ার কয়েক হাজার গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে অফিসার ও জওয়ানদের। জনরোষের মুখে পড়ে চম্পট দেন তাঁরা। আর এখানে তৃণমূল কংগ্রেস বা রাজ্য সরকার জড়িত নয় বলে জানানো হয়েছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কুণাল ঘোষের পরামর্শ, “কোনও অবস্থায় কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। দলের নেতৃত্ব গোটা বিষয়টা দেখছেন। তারা যথাযথ সময়ে পদক্ষেপ করবে।” অন্যদিকে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় বেধড়ক মার খেয়েছেন ইডির অফিসাররা। আর এজলাসে বসেই এই খবর জানতে পেরে কড়া পর্যবেক্ষণ জানান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। “তদন্তকারীদের যেভাবে মারা হয়েছে, তাতে পরিষ্কার যে পশ্চিমবঙ্গে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমি বুঝতে পারছি না, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কেন তা ঘোষণা করছেন না?” পর্যবেক্ষণ বিচারপতির।
পাশাপাশি, এহেন মন্তব্যের পরই কুণাল ঘোষ বলেন, “উনি প্রশ্ন করার কে? ওনার নেতা সাজার ইচ্ছে হলে কলকাতা হাইকোর্টের বাইরে টুলে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখুন। চেয়ারটা বিচারপতির, কণ্ঠটা বিরোধীদের। কয়েকজন বিচারপতির জন্যই বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উনি মুখোশ পড়ে কেন খেলছেন?” এখানেই শেষ নয়। একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চলেছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লাইভ করেন কুণাল ঘোষ। “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। উদ্বেগেরও বটে। তবে এটার পিছনে রয়েছে প্ররোচনা। লাগাতার, ধারাবাহিকভাবে, কার্যত রোজ, শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসকে বেইজ্জত করবে বলে বিজেপির নির্দেশে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী তল্লাশির নামে গ্রামে ঢুকে প্ররোচনা দিচ্ছে। যেখানে বিজেপি আমাদের সংগঠনের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না, সেখানে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেখানকার মানুষকে প্ররোচনা দিচ্ছে”, জানান তিনি।