কংগ্রেস তৃণমূলের দয়া–দাক্ষিণ্যে বাংলায় লড়বে না। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এমনই মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। আর তারপরই এল কংগ্রেস সভাপতির কড়া বার্তা। মল্লিকার্জুন খাড়গের খড়্গহস্ত বার্তা পৌঁছে গিয়েছে বিধান ভবনে বলে সূত্রের খবর।
কোনও আচরণের জন্য ‘ইন্ডিয়া’ জোট দুর্বল না হয় বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন স্ট্র্যাটেজির বৈঠকে বৃহস্পতিবার সমস্ত প্রদেশ নেতৃত্বকে এই ‘সতর্কবার্তা’ শোনালেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এমনকী তিনি বলেছেন, জোট শরিকদের নিয়ে কোনওরকম নেতিবাচক আলোচনা করা যাবে না। কারণ, এখন একমাত্র লক্ষ্য মোদীকে সরানো।
এদিকে আসন রফার বিষয়টি আগামী ২০ জানুয়ারি তারিখের মধ্যে সেরে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস বলে সূত্রের খবর। আর তাই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদের সঙ্গে শীঘ্রই আলোচনা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে কংগ্রেস কোনও জেদাজেদি করবে না। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ এই বিষয়ে বলেন, ‘জোট শরিকরা বারবার আসন রফার নিয়ে আলোচনা চাইছে। তাই আমরাও দ্রুতই খোলা মনে আসন রফার আলোচনা করব। কোনওভাবেই জোট ভাঙা চলবে না।’ সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ২০০৪ সালে যেভাবে দলে ক্যাডার–লিডার সকলে একজোট হয়ে ক্ষমতায় ফেরার সংকল্প নিয়েছিল, এবারও তাই করতে হবে।
অন্যদিকে গত ৩১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যেই আসন রফার প্রস্তাব দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেস আগে নিজেদের ঘর গোছাতে আলোচনায় ব্যস্ত থাকে। সেখানে ২৯০টি আসনে একক লড়ার এবং জোট করে আরও ১০০টি আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটা শরিকরা মানবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে আলোচনার টেবিলে বসতে আপত্তি নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আগেই বলেছেন, ‘জাতীয় স্তরে কংগ্রেসকে সমর্থন করছে তৃণমূল। আমাদের হৃদয় বড়। তবে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা রোজই তৃণমূলের সমালোচনা করলেও আমরা ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে।’