বর্তমানে ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ তিনি। উল্লেখ্য, আইএসএলের মঞ্চ থেকে উঠে আসা প্রথম ভারতীয় তারকা বলা হয় তাঁকে। সেই সন্দেশ জিঙ্ঘান বিশ্বাস করেন, এই আইএসএলের কল্যাণেই একদিন বিশ্বকাপের আসরে পৌঁছে যাবে টিম ইন্ডিয়া। হাতে গোনা যে কয়েকজন ফুটবলার ‘অর্জুন’ পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁদের অন্যতম চণ্ডীগড়ের সন্দেশও। জাতীয় দলের ম্যাচ হোক বা ক্লাব, তাঁর থাকা আর না থাকার তফাত বোঝা যায় ভালোমতোই। ভারতীয় ফুটবলের শীর্ষস্তরে সন্দেশের পথ চলা শুরু হয়েছিল এই আইএসএল থেকে। আর এই লিগই ভারতের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন সন্দেশ। “ভারতীয় ফুটবলে আইএসএলের গুরুত্ব অপরিসীম। আর ১৫-২০ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে এই লিগ। ততদিনে ভারত সেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। আমরা কিছু বছর আগে ফিফায় ১৭৩ নম্বরে ছিলাম। ভারতীয় ফুটবল নিয়ে লোকের কাছে তেমন কোনও ধারণা ছিল না। কিন্তু এখন ছবিটা বদলে গিয়েছে। আর এই বদলের কৃতিত্ব অনেকটাই আইএসএলের”, জানিয়েছেন দেশের এক নম্বর ডিফেন্ডার।
কেবল দেশের ফুটবল মানচিত্রই নয়, জাতীয় দলের পারফরম্যান্সও বদলে গিয়েছে আইএসএলের উপস্থিতিতে, এমনই মনে করছেন সন্দেশ। তাঁর কথায়, “সাম্প্রতিক অতীতে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো খেলেছি। আর এই বদলের ক্ষেত্রে আইএসএলের প্রভাব কতটা, তা কথায় বোঝানো সম্ভব না। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির ক্ষেত্রে আইএসএল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবেই আমরা নিয়মিত ফিফা বিশ্বকাপ খেলব। তখন সবাই বলবে যে আইএসএলের হাত ধরেই আমরা সেই পথে যাত্রা শুরু করেছিলাম।” বিগত ২০১৫ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় সন্দেশের। তারপর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়াও একাধিকবার ইন্টার-কন্টিনেন্টাল কাপ এবং ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছেন তিনি। আপাতত আসন্ন এএফসি এশিয়ান কাপে ভালো ফল করার লক্ষ্যে দোহার জাতীয় শিবিরে দলের সঙ্গে প্রস্তুতি সারছেন এই তারকা ডিফেন্ডার। এদেশে ফুটবলের উন্নতির জন্য ভারতীয় তারকা তৈরির উপর জোর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন সন্দেশ। “আমার বেড়ে ওঠা চণ্ডীগড়ে। আমি ছোট থেকেই ফুটবল নিয়ে উৎসাহী ছিলাম। বাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রী, রেনেডি সিংয়ের নাম আমার কাছে অপরিচিত ছিল না’’, বক্তব্য তাঁর।