ক্ষমতায় এসে বাংলার শিল্পায়ন এবং শিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই যার সুফল ভোগ করছে রাজ্যের মানুষ। এবার জানা গেল, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলায় একাধিক হাসপাতাল তৈরি হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, একাধিক হাসপাতালের বহরও বাড়তে চলেছে। কোনও কোনও হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষত ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাড়তি জোর দিচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতাল। শুধু ২০২৪ সালেই কলকাতায় কমপক্ষে ৩০০টি শয্যা (বেড) যুক্ত হতে চলেছে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ হতে চলেছে।
আগামী মার্চ থেকে নিউ টাউনে ১৬৮ শয্যার হাসপাতালের নির্মাণকাজ তৈরির পরিকল্পনা করছে বেলভিউ ক্লিনিক। সেজন্য খরচ ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। সেইসঙ্গে নিউ টাউনেই একটি পৃথক জমিতে আরও একটি হাসপাতাল তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সাল থেকে ওই হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। ওই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা হবে ৪০০। রুবি জেনারেল হাসপাতালে আরও ১৮০টি শয্যা যোগ করা হচ্ছে। ক্যানসার চিকিৎসার জন্যই ৮০টি শয্যা থাকবে। যার ফলে রুবিতে একসঙ্গে ৫০০ জনের বেশি ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা করা যাবে বলে রুবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, আরও ১০০টি শয্যা যোগ করতে চলেছে উডসল্যান্ডস মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল। দু’বছরের মধ্যে ওই শয্যা যোগ করা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। সেজন্য ৩০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। আবার, কলকাতায় হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করতে চলেছে দেবী শেট্টির নারায়ণা হেলথ গ্রুপও। যেখানে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ২৫০টি শয্যা থাকবে। ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য জমি বরাদ্দ করতে পারে রাজ্য সরকার। শীঘ্রই প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকাজ শুরু হবে। তাতে রোবোটিক্স-সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকবে। একইসঙ্গে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট তৈরিরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যেখানে গবেষণা চলবে।
নয়া হাসপাতাল তৈরির পাশাপাশি হাওড়ার নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে শয্যার সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত ৩৫০টি শয্যা আছে। আরও ১৫০টি শয্যা যুক্ত করা হচ্ছে। তার ফলে ফেব্রুয়ারি থেকেই হাওড়ার নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ৫০০টি শয্যা থাকবে। আবার, শিলিগুড়িতে যে হাসপাতাল আছে, সেটার বহর আরও বাড়াতে চাইছে মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। সেইসঙ্গে আসানসোল এবং রঙ্গপানিতে নয়া ক্যানসার হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও ডিসান হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার জন্য ২০০টি শয্যা যুক্ত করা হচ্ছে। একইভাবে বিপি পোদ্দার হাসপাতালেও ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ২০০টি বেড যোগ করা হচ্ছে।