১০০ দিনের বকেয়া টাকা আদায়ে গত অক্টোবরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূল। সেসময় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর অফিসে গিয়ে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও মন্ত্রীর দেখা পায়নি তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ফের একবার বাংলায় পা রেখে এ নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী স্বাধ্বী জ্যোতির বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগল তৃণমূল। তাঁর উদ্দেশে বাংলার শাসক দলের স্পষ্ট বার্তা, মিথ্যাচারিতা বন্ধ করে বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকা ফেরান।
প্রসঙ্গত, বুধবার বাংলায় এসে স্বাধ্বী দাবি করেছেন, ‘তৃণমূল ধর্না দিতে চেয়েছিল, আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়নি। কেন্দ্র কোনও প্রকল্পের টাকা আটকাতে চায়নি।’ এ নিয়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল। এদিন এক ভিডিও বার্তায় বলা হয়েছে, ‘সেদিন দিল্লিতে যে প্রতিনিধি দল গিয়েছিল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে, তাদের ৫ দফায় সিকিউরিটি চেকের পর ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। অফিসে প্রবেশের আগে প্রত্যেকের নাম ধরে ধরে যাচাই করা হয়। তারপর ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে উনি দেখা না করে সেখান থেকে চলে যান। সেখানে বকেয়া টাকা না পাওয়া কিছু মানুষ ছিলেন তাঁদেরও সিকিউরিটি চেক হয়েছিল। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে আমরা প্রত্যেকে অনুমতি নিয়েই সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। দেখা না করে পালিয়ে গিয়ে এখন সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন সাধ্বী।’
এরপরই বলা হয়েছে, ‘আসলে নিজের ভুলটা বুঝতে পেরে মুখ বাঁচাতে বারবার বাংলায় এসে সাজানো মিথ্যা কথা বলে চলেছেন। এইসব মিথ্যাচারিতা বন্ধ করে বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকা ফেরান।’ পাশাপাশি সাধ্বীকে আক্রমণ শানিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি মিথ্যা কথা বলছেন। আমিও সেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাধ্বীজির অফিসে গিয়েছিলাম। ৫ দফা সিকিউরিটি চেকের পর আমরা ভেতরে ঢুকেছিলাম। সেদিন চার ঘন্টা ধরে ওনার নাটক দেখেছি। পারলে আমাদের সামনাসামনি বসে যা বলতে চাইছেন সেগুলো উনি বলুন।’