বাংলার মানুষকে নিখরচায় ও সুলভ মূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সাল থেকেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির উন্নয়নের দিকে নজর রেখে চলেছেন। সেই সূত্রেই রাজ্যে চালু হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। প্রতিটি জেলায় তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।
মমতার এই উদ্যোগ শুধু যে সাফল্যের নজীর গড়েছে তাই নয়, দেশের নানা মহলের নজরও কেড়ে নিয়েছে। প্রশংসিত হয়েছে মমতার পদক্ষেপগুলি। মমতার এই সাফল্যে ধাক্কা দিতেই প্যাঁচ কষে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদীর সরকার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা আটকে দিয়েছে। এই প্রকল্পে ৬০:৪০ অনুপাতে টাকা মেটানোর কথা কেন্দ্র ও রাজ্যের। সেই হিসাবে কেন্দ্রের দেওয়ার কথা ৯৬০ কোটি টাকা। রাজ্যের দেওয়ার কথা ৬৪০ কোটি টাকা।
কিন্তু মমতার সরকারকে প্যাঁচে ফেলতে কেন্দ্র ২৮০ কোটি দিয়েই হাত তুলে নিয়েছে। মমতা কিন্তু বাংলার মানুষের স্বাস্থ্যে আঁচ পরতে দেননি। রাজ্যবাসী যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পান তার জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে ১৩০০ কোটি টাকা প্রদান করেছেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের খাতে।
১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ। আসছে না আবাস যোজনার টাকাও। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকাও আটকে দিয়েছে। কিন্তু মমতাও রাজ্যের কোষাগার থেকে ১৩০০ কোটি টাকা বার করে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজ টেনে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বুকে। সেই কারণেই রাজ্য তাদের নির্ধারিত অর্থের দ্বিগুণেরও বেশি খরচ করেছে এই খাতে। বাংলার মানুষও নির্বিঘ্নে রাজ্যের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি থেকে নির্বিঘ্নে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে চলেছেন।