সামনেই বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার আগে এখনও পর্যন্ত বড় কোনও গোলমাল, হিংসার ঘটনা নেই। বিক্ষিপ্ত ঘটনায় দ্রুত হস্তক্ষেপ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু তারপরেও ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচন কমিশন যে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না তা গতমাসেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ভোট গ্রহণের দিনটি বিশেষভাবে হিংসামুক্ত রাখতে চারদিন আগে থেকেই দেশে সেনা নামিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপি ভোটে অংশ নেয়নি। সেবার ভোটের দিন ৫৬১টি স্কুলে বিরোধীরা আগুন দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। নিহত হন ১৯ জন নির্বাচন কর্মকর্তা। এবারও বিএনপি ভোটে অংশ নিচ্ছে না। প্রধান বিরোধী দল ময়দানে না থাকলেও নির্বাচন কমিশন ঝুঁকি নিচ্ছে না। তাই সেনা নামাতে রাষ্ট্রপতি তথা সেনা বাহিনীর সর্বাধিনায়কের অনুমতি চেয়েছিল কমিশন। অনুমতি মিলতেই বুধবার রাত থেকেই বাংলাদেশের শহরগুলিতে সেনা টহল শুরু করেছে।নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরও দেশকে হিংসা মুক্ত রাখতে অন্তত ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা ময়দানে থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশ এডিটর্স গ্রিলের তরফে সে দেশের বিশিষ্ট সম্পাদকেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু বলেন, প্রায় এক ঘন্টার আলোচনায় হাসিনা তাঁদের বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য। সেই কাজে সরকার যথাসাধ্য করছে, করবে। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন যাবত হাসিনা নির্বাচনী প্রচারে মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভোটে যারা অংশ নিচ্ছে না, তারা নির্বাচন বাতিল করার জন্য ময়দানে সক্রিয়। আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিতে যাবেন। কোনও প্ররোচনায় কান দেবেন না। বৃহস্পতিবার তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন বলে ঠিক আছে।