কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলার বহু স্কুলে শিক্ষকদের একাংশের মধ্য আলস্যের প্রবণতা দেখা যায়। কেউ যান ১১টায়, কেউ আবার ১২টায়। কেউ আবার মাঝপথ থেকেই ফিরে আড্ডা দিতে বসে যান। একাধিক গ্রামের স্কুলে পরপর অনুপস্থিত থেকে নানা কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “শিক্ষকরা সময়ে আসছেন না এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। প্রতি জেলাতে ডিআইরা রয়েছেন। তাঁরা বিষয়টি দেখবেন। আমাদের কাছে অভিযোগ এলে আমরা নিশ্চয়ই জানতে চাইব।” নতুন বছরে শিক্ষকদের স্কুলে আসার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল। এবার সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে প্রবেশ করতেই হবে শিক্ষকদের। এরপর প্রবেশ করলেই লেটমার্ক। মানে স্কুলে প্রার্থনা সংগীত হওয়ার আগে স্কুল শিক্ষকদের স্কুলে আসতেই হবে। রাজ্য জুড়ে স্কুল শিক্ষকদের স্কুলে আসার সময় নিয়ে এবার কড়া অবস্থান নিচ্ছে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, এই নয়া নিয়মে বলা হচ্ছে সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে সকাল ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা প্রার্থনার লাইনে দাঁড়াবে। তার আগেই স্কুলে চলে আসতে হবে শিক্ষকদের। না হলেই লালকালি পড়ে যাবে। অর্থাৎ লেটমার্ক পড়ে যাবে। বহু অফিসে বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা থাকে। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অফিসে চলে আসেন কর্মচারীরা। এমনকী দেরি করে এলে সতর্ক করে দেওয়া হয়। বার বার দেরি করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও থাকে। কিন্তু যাঁদের উপর শিক্ষা দেওয়ার ভার রয়েছে তাঁদের অনেকেই অবশ্য ফাঁকিবাজিতে অভ্যস্ত। তাঁদের একাংশের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ, নিয়মনিষ্ঠর মতো বিষয় থাকেই না। আগের নিয়মে মোটামুটি ১০টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে স্কুলে আসলেই হত। কিন্তু বর্তমানে সেই নিয়ম থাকছে না। এবার থেকে ১১টা ১৫এর পরে স্কুলে এলেই তা অনুপস্থিত বলে গণ্য করা হবে। তবে শুধু স্কুলে এলেই হবে না। যখন তখন স্কুল থেকে বেরিয়ে বাড়ি চলে এলে আর হবে না। ৪টে ৩০ পর্যন্ত স্কুলে থাকতেই হবে। এমনকী প্রত্যেক স্কুলে ৩২ ঘণ্টা ক্লাস নিতেই হবে শিক্ষকদের, এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।