জাতীয় কুস্তি অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্ব নিয়েই ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন অ্যাড-হক কমিটির চেয়ারম্যান ভূপেন্দর সিং বাজওয়া। এর পাশাপাশি, চ্যাম্পিয়নশিপের পরপরই দেশের সেরা কুস্তিগিরদের নিয়ে শিবির আয়োজনের কথাও জানিয়েছেন তিনি। তবে অ্যাড-হক কমিটি বা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের নির্দেশের বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ করছেন ডব্লুএফআই সভাপতি সঞ্জয় সিং।
দীর্ঘ টালবাহানার পর ২১ ডিসেম্বর ডব্লুএফআইয়ের নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে জিতে সভাপতি হন সঞ্জয়, যিনি যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত কুস্তিকর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের অনুগামী হিসাবেই পরিচিত। দিন তিনেক পর নতুন কমিটিকে সাসপেন্ড করে ক্রীড়া মন্ত্রক। তারপরই বাজওয়াকে প্রধান করে অ্যাসোসিয়েশনের কাজ চালানোর জন্য অ্যাড-হক কমিটি নিয়োগ করে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। দায়িত্ব নিয়েই দ্রুত প্যারিস অলিম্পিকের প্রস্তুতি শুরুর কথা জানিয়েছিলেন ভারতীয় উশু অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বাজওয়া।
নতুন বছরের প্রথম দিনই সেই মতো জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের কথা ঘোষণা করা হয়। জয়পুরে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে প্রতিযোগিতা। এর ঠিক পরেই ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শিবির শুরু হবে। পুরুষদের শিবির হবে সোনপতে, মহিলাদের পাতিয়ালায়। অলিম্পিক পর্যন্ত এখানেই প্রস্তুতি সারবেন কুস্তিগিররা। এ প্রসঙ্গে বাজওয়া বলেন, ‘অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার কথা মাথায় রেখে শিবির আয়োজন করা হচ্ছে। এর মধ্যে এপ্রিলে বিশকেকে এশিয়ান কোয়ালিফিকেশন টুর্নামেন্ট এবং মে মাসে ইস্তানবুলে ওয়ার্ল্ড কোয়ালিফিকেশন টুর্নামেন্ট রয়েছে।’
তবে অ্যাড-হক কমিটির জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের অধিকার নেই বলেই দাবি করেছেন সঞ্জয়। তাঁর পালটা হুঁশিয়ারি, বিভিন্ন রাজ্য সংস্থা কুস্তিগিরদের জয়পুরে লড়াইয়ের অনুমতিই দেবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েছি। আমরা অ্যাড-হক প্যানেল বা ক্রীড়ামন্ত্রকের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিচ্ছি না। আমরাই ডব্লুএফআই চালাচ্ছি। ওদের কোনও অধিকার নেই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের। আর রাজ্যগুলি কুস্তিগিরদের অনুমতি না দিলে ওখানে লড়বে কারা?’ সঞ্জয়ের দাবি, শীঘ্রই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করবেন তাঁরা।