বিতর্কে ইতি টানলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বেঁধে দিলেন দলীয় ঐক্যের সুর। সম্প্রতি, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের অন্দরের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। তাই নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। তারপর সন্ধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। এবার বিতর্কেই জল ঢাললেন কুণাল ঘোষ। এবার শোনা গেল নরম সুর। আর প্রবীণ-নবীন ঐক্যের বার্তা শোনা গেল দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের মুখ থেকে। তিনি বললেন, “তৃণমূল এক এবং ঐক্যবদ্ধ। বিষয়ভিত্তিক মতপার্থক্য থাকে। তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা। সুব্রত বক্সি দলের সিনিয়র নেতা। দলের সিনিয়র নেতারা ভোটে দাঁড়ালে এক হয়ে লড়াই করবে গোটা তৃণমূল কংগ্রেসই।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। “সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম দাঁড়াবেন। এককাট্টাভাবে ভোটে লড়বেন। সিনিয়রদের ভূমিকা থাকবে। যতক্ষণ শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রয়েছেন ততক্ষণ একরকম ভূমিকা পালন করবেন। প্রবীণদের লড়াই, আত্মত্যাগ অভিজ্ঞতা সবটাই শেয়ার করবেন। সিনিয়র নেতাদের পুরোদস্তুর ভূমিকা আছে। পরিবারে যেমন হয়। নিশ্চিতভাবে সংগঠনে থাকবেন”, জানান কুণাল।
পাশাপাশি, কুণাল ঘোষ দু’পক্ষকেই বার্তা দিয়েছেন। কারণ এখনও এই বিষয়ে দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখলে লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্ষতি হয়ে যাবে। “এই পরিবারে শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনাপতি হলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আবার সুব্রত বক্সির মতো সিনিয়র নেতারা আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচটা প্রজন্ম তৈরি করে দিয়েছেন। নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বের সমস্যা সিপিএম–বিজেপিতেও রয়েছে। একটা সময় জ্যোতি বসু, সুরজিৎ দে’র বিরুদ্ধে প্রকাশ কারাটদের অবস্থান ছিল। কংগ্রেসের কতজন ওয়ার্কিং কমিটি থেকে বেরিয়ে গেলেন। তৃণমূলে এসব নেই। এই দ্বন্দ্ব বিরোধী দলগুলির ট্র্যাডিশন। আমার সবথেকে মজা লাগছে তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে বিরোধী দলগুলি এত ব্যস্ত দেখে। তৃণমূলে দ্বন্দ্ব নেই, গণতন্ত্র আছে”, বক্তব্য তৃণমূল মুখপাত্রের।