নতুন বছরে নতুন মুখ্যমন্ত্রী পাবে ঝাড়খণ্ড। কারণ গ্রেফতার হতে পারেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন। এমনই দাবি বিজেপির।
উল্লেখ্য, বছরের শেষ দিনই হেমন্ত সোরেনকে তলব করেছে ইডি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ওই মামলায় গ্রেপ্তারির আশঙ্কা করছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তাই স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে চাইছেন।
জমি দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত মামলায় এই নিয়ে সপ্তমবার হেমন্তকে ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। তলবের সাতদিনের মধ্যেই হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এহেন পরিস্থিতিতেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভা থেকে ইস্তফা দেন জেএমএমের বিধায়ক সরফরাজ আহমেদ। সঙ্গে সঙ্গেই গৃহীত হয় তাঁর ইস্তফা। সরফরাজের দাবি, দল ও মুখ্যমন্ত্রীকে শক্তিশালী করতেই ইস্তফা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্ত্রীকে কুরসি ছেড়ে দিচ্ছেন এমন উদাহরণ রয়েছে দেশে। বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে পশুখাদ্য মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি। পরিবর্তে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবী। এবার ঝাড়খণ্ডেও কি সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে? বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের পরে তুঙ্গে জল্পনা।