চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রের মোট বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ ৪৫ লক্ষ কোটি। এর মধ্যে ৪০ লক্ষ কোটি টাকা আগামী বছর ৩১ মার্চের মধ্যে জনতার পকেট থেকে উঠে আসবে।
কেন্দ্রের আয়কর পূর্বাভাস সংক্রান্ত পরিসংখ্যান থেকেই উঠে এসেছে এই তথ্য। মূলত, আয়কর, কর্পোরেট ট্যাক্স এবং জিএসটি- এই তিনটি ক্ষেত্র থেকেই বিপুল পরিমাণ এই রাজকোষ আদায় হয়।
আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনতার পকেট থেকেই সরকারের রাজকোষ ভরছে। অথচ কেমন আছে সেই জনতা? সরকারি পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির দাপটে যেভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাতে জনতার নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়।
সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার আগের অর্থবর্ষে (২০১৩-১৪) রিটার্ন দেওয়ার পর আয়কর এবং কর্পোরেট ট্যাক্স খাতে সরকারের ঘরে জমা হয়েছিল মোট ৬ লক্ষ ৩৮ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবষে অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ লক্ষ ৬১ হাজার কোটিতে। চলতি অর্থবর্ষে এই খাতে প্রস্তাবিত আয় ১৯ লক্ষ কোটি টাকা ছাপিয়ে যেতে পারে। একইভাবে জিএসটি খাতে গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত গড়ে প্রতি মাসে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার কোটি টাকা জমা পড়েছে রাজকোষে। অর্থবর্ষ শেষে এই খাতে আদায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে ২০ লক্ষ কোটি টাকায়।
আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, মোট বাজেটের সিংহভাগ অংশই আসতে চলেছে জনতার পকেট থেকে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজকোষের আয় বৃদ্ধি নজরকাড়া হারে বাড়ছে। কিন্তু জনতার ভোগান্তি সেই অর্থে কমেনি। বরং বেড়েছে।