এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিকর্মন পুরস্কার পেয়েছে বাংলা। এবার রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ মমতার রাজ্যকে বিশেষ ইনসেনটিভ দিতে চলেছে মোদী সরকার। মাটির মান পরীক্ষা, কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশের ব্যবহার বৃদ্ধির নিরিখে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশের মধ্যে বাংলা এবং তামিলনাড়ুই এই রাজ্য ইনসেনটিভ পেতে চলেছে।
প্রশাসনিক মহলের ব্যাখ্যা, প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন অগ্রগতি হয়েছে এই দুই রাজ্যে। যা একাধিক বৈঠকে অন্যান্য সমস্ত রাজ্যের প্রতিনিধিদের সামনে তুলেও ধরেছেন কেন্দ্রের পদস্থ কর্তারা। এমনকী বাংলাকে মডেল হিসেবে সামনে রেখে কাজ করারও নিদান দেওয়া হয়েছিল গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশ সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিকে।
জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার টাকা মাটির পরীক্ষা থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্রাংশের ব্যবহার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যার ৬০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র। আর বাকি ৪০ শতাংশ যায় রাজ্যের কোষাগার থেকে। চলতি অর্থবর্ষে মোট ৪টি কিস্তিতে ১৬৮ কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রের। এছাড়াও এবার ইনসেনটিভ অতিরিক্ত ১৩৭ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলেই রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রের খবর।
এ বিষয় রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘গেরুয়া শিবির বাংলাকে যখন কালিমালিপ্ত করতে চাইছে, ঠিক তখনই কেন্দ্রে তাঁদেরই সরকার রাজ্যের কাজের ভুয়সী প্রশংসা করে ইনসেনটিভ দিচ্ছে। এর থেকেই মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে রাজ্য সরকার কতটা স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করে।’ জানা গিয়েছে, রাজ্যকে এই ইনসেনটিভ দিতে কার্যত বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। কারণ, বাংলা এবং তামিলনাড়ু ছাড়া আর অন্য কোনও রাজ্য বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে পারেনি।