মোদী সরকারের ঔদাসীন্য ও দীর্ঘসূত্রিতার জেরে বহুদিন ধরেই থমকে ছিল কাজ। এরপর সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে সুরাহার বার্তা দেন। উল্লেখ্য, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের গভীরে থাকা দুটি বনবস্তি, গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়াবস্তি স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গিয়েছে। জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বক্সাকে বাঘেদের নিরাপদ বিচরণভূমি করতে, এই দুটি বনবস্তি স্থানান্তর জরুরি ছিল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারে এসে দ্রুত কাজ দ্রুত শেষের নির্দেশ দেন। তারপরেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বস্তিবাসীদের ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া অর্থের পঞ্চাশ শতাংশ তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে দুই বস্তি খালি করে পূর্বপুরুষের ভিটে ছেড়ে চলে যেতে হবে। যা নিয়ে তাঁদের মন খারাপ। আশঙ্কা ছিল, যেখানে যাবেন, প্রতিবেশীদের হয়তো পাবেন না তাঁরা।
তবে শেষমেশ মুশকিল আসান হয়ে দাঁড়ালেন স্বয়ং মমতা। জেলা প্রশাসনকে তাঁদের জন্য দ্রুত নতুন একটি গ্রাম তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই কালচিনি ব্লকের ভাটপাড়া চা-বাগানে বনবস্তি বাসীদের জন্য নতুন গ্রাম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। জেলা পরিষদ ৫২ লক্ষ টাকায় রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এরপর সোলার হাইমাস্ট আলো হবে। সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর দশ কোটি টাকায় একটি উচ্চমানের ইংরেজিমাধ্যম স্কুল করবে। রাস্তা হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানীয় জলের কাজ শুরু হবে। জেলাশাসক আর বিমলা জানিয়েছেন, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আগামী কাল থেকে আলাদা করে সাড়ে তিন কোটি টাকার কাজ শুরু হবে। মুখমন্ত্রী চেয়েছিলেন দুই বস্তির বাসিন্দারা যেমন একটি পরিবারের মতো জঙ্গলের ভেতরে বসবাস করেছেন, সেইভাবেই নতুন জায়গাতে থাকুন তাঁরা। সেই অনুযায়ীই এগোচ্ছে কর্মযজ্ঞ।