২০২৪-এর লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে লোকদেখানো তোষণ শুরু করেছেন। ভোটের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে খ্রিস্টানদের ব্যবহার করার এই ফন্দি সমর্থনযোগ্য নয়। অভিযোগ, বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিনের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে সব থেকে বেশি হিংসার বলি খ্রিষ্টানরা। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির প্রেসক্লাব অফ ইন্ডিয়ার সাংবাদিক বৈঠকে এ বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মোদী সরকারের সংখ্যালঘু বিরোধী মনোভাব নিয়ে সতর্ক করে দিলেন খ্রিষ্টান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু এবং সামাজিক কর্মীরা।
২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে মোদী প্রথমবার তার বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান বহু খ্রিস্টান ধর্মগুরু, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বহু বিশিষ্ট মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের। খ্রিস্টানদের পবিত্রদিনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার জন্য, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মোদী, বিজেপি এবং আরএসএস-এর উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন খ্রিষ্টানরা। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি ক্যাথলিক চার্চের প্রেসিডেন্ট এ সি মাইকেল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ক্যাথলিক নান মেরি স্কারিয়া, অল ইন্ডিয়া খ্রিস্টান কাউন্সিলের সেক্রেটারি-জেনারেল জন দয়াল এবং সমাজকর্মী শবনম হাশমি।
সাংবাদিক বৈঠকে, দিল্লি ক্যাথলিক চার্চের প্রেসিডেন্ট এসি মাইকেল বলেন, টানা ৯ মাস ধরে জ্বলছে মনিপুর। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্বেগ দেখা যায়নি অথচ লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে দেশের বিভিন্ন জায়গার খ্রিস্টান ধর্মগুরুদের নিয়ে ফটোসেশন করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। অভিযোগ ২০১৪-এর পর থেকে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৭ থেকে ৮টি চার্চ জ্বালানো হয়েছে। সারাদেশে ২২ থেকে ২৩ টি রাজ্যে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে অত্যাচার চলছে। বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিনের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে সব থেকে বেশি হিংসার বলি খ্রিষ্টানরা। ৭ হাজারেরও বেশি মনিপুরী এই মুহূর্তে দিল্লি-এনসিআরএ এসে আশ্রয় নিয়েছেন। সে বিষয়ে একটি বাক্যও ব্যয় করেননি প্রধানমন্ত্রী। এমনকি যারা বড়দিনের উৎসবে যোগদান করেছিলেন তারাও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাননি।