বিজেপি সাংসদ তাঁকে বলেছেন, গেরুয়া শিবিরে ‘দাসত্বের সংস্কৃতি’ চলে। কংগ্রেসের এক জনসভায় এমনই দাবি করলেন রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার নাগপুরে ‘হ্যা তৈয়ার হাম’ ব়্যালি থেকে রাহুল দাবি করেন, বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যকার এই দ্বন্দ্ব আদতে নীতি এবং আদর্শবোধের লড়াই।
রাহুল বলেন, ‘দেশে এখন নীতিবোধের লড়াই চলছে। মানুষ মনে করে এটা একটা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। তবে এই লড়াইয়ের মূলে রয়েছে আদর্শগত পার্থক্য।’ এই জনসভায় তিনি দাবি করেন, সংসদে সম্প্রতি তিনি এক বিজেপি সাংসদের সঙ্গে কথা বলেন যিনি এককালে কংগ্রেস নেতা ছিলেন। সেই নেতাই নাকি রাহুল গান্ধীকে বলেন, বিজেপিতে ‘দাসত্বের সংস্কৃতিকে’ উৎসাহ দেওয়া হয়।
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘লোকসভায় সম্প্রতি এক বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল আমার। তিনি এককালে কংগ্রেসে ছিলেন। আমি গোপনে তাঁর সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমার কাছে নিজের ভয়ের কথা বলেন। তিনি আমাকে বলেন – রাহুলজি আমি আপনার সঙ্গে কিছু কথা বলতে চাই। আমি তাঁকে পালটা জবাব দিই, আমার সঙ্গে আপনি কী কথা বলতে চান, আপনি তো বিজেপিতে! আমি তাঁর চোখে মুখে উদ্বেগের ছাপ দেখতে পাই। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি, সব ঠিক আছে কি না। তাতে তিনি জবাব দেন – না।’
রাহুল দাবি করেন, সেই সাংসদ নাকি রাহুলের কাছে বলেন, তিনি আর বিজেপি নেতা হিসেবে থাকতে পারছেন না। তাঁর বর্তমান দল নাকি দাসত্বকে উৎসাহিত করছে। রাহুল বলেন, ‘সেই সাংসদ আমাকে বলেন, আমি আর বিজেপিতে থাকতে পারছি না। আমি বিজেপিতে আছি ঠিকই, তবে আমার হৃদয় কংগ্রেসে আছে। আমার ধর বিজেপিতে। আর এখন আমার মন ভয় পাচ্ছে। এই দেহকে কংগ্রেসে নিয়ে যেতে পারছি না তাই। আমি তাঁকে প্রশ্ন করি, কেন তাঁর মন বিজেপিতে থাকতে চাইছে না আর। এর জবাবে তিনি বলেন – বিজেপিতে গোলামি চলে।’ রাহুল দাবি করেন, সেই সাংসদ নাকি তাঁকে বলেন যে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব যেই নির্দেশই দিয়ে থাকুক না কেন, তা মানতে বাধ্য হন নীচু তলার নেতা-কর্মীরা। সাংসদদেরও অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয় সেই সব নির্দেশ। রাহুল বলেন, ‘সেই সাংসদ আমার কাছে দাবি করেন, কেউ তাঁদের কোনও কথাই শোনে না। ওপর থেকে যে নির্দেশই আসে না কেন, অন্ধের মতো তা পালন করতে হয়। আগেকার দিনে যেমন রাজারা প্রজাদের নির্দেশ দিত, বিজেপিতে এখন তেমনটাই চলছে।’